Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরাজিত প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গত ২৬ ডিসেম্বর নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার ও বিদ্রোহী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের কর্মী সমর্থকের নানা কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ লোকজন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের মধ্য দিনপার করছেন। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর কর্মীরা বিজয়ীদের হাতে মারধর ও হামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

জানা যায়, গত শুক্রবার সিরাজকান্দি বাজারে পরাজিত প্রার্থী মতিন সরকারের কর্মী সালাউদ্দিনের ওপর হামলা করে তার পায়ের রক কেটে দেয়া হয়। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া সম্প্রতি সারপলশিয়া গ্রামের যমুনা নদীর তীরে বালুর ঘাটে আরেক কর্মী ইসমাইল হোসেন ও খোরশেদ আলমকে একইভাবে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে।
ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নয়ন সরকার জানান, মাসুদের লোকজন আমাদের কর্মী সমর্থকদের হয়রানি, মারধর ও হামলা চালাচ্ছে। কর্মীরা ভয়ভীতি ও প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকছেন। ইতোমধ্যে তিনজনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেছে।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মতিন সরকার জানান, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের লোকজন আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করছে। উপজেলা আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়েও বিদ্রোহী প্রার্থীকে মদদ দিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে তা কেটে দেন।
ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আব্দুল ওহাব জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ