Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তিন দিনের রিমান্ডে আনোয়ারুল

অধ্যাপক সাইদা হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক অধ্যাপক সাইদা গাফফারকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত আনোয়ারুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শনিবার গাজীপুর মহানগরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) ফাহিম আজাদ জানান, শনিবার সকালে কাশিমপুর থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আনোয়ারুলকে আদালতে পাঠ নো হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে, নিখোঁজের দুই দিন পর শুক্রবার গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্প এলাকার একটি ঝোপ থেকে অধ্যাপক সাইদা গাফফারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৬ সালে অবসর নেন। তার প্রয়াত স্বামী কিবরিয়া উল খালেকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির জানান, তার মা কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকে পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ কাজ দেখাশোনা করতেন। বাড়ির কাজও প্রায় শেষের দিকে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নতুন বাসায় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু গত বুধবার সন্ধ্যার আগেই তার মায়ের বাসার দরজা খোলা পাওয়া যায়। ওই বাসায় মাকে না পেয়ে শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পের ঠিকাদার আনোয়ার তাকে বিষয়টি জানান। পরে ওই রাতেই কাশিমপুর থানায় তার বোন সাদিয়া আফরিন এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি আরও জানান, তার মা নতুন বাসার সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য একটি গাছ কেটেছিলেন। গাছটি সীমানা প্রাচীরের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় কাটতে হয়েছিল। আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক গাছটি কেটেছিলেন। তাকেই পুলিশ সন্দেহ করে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আনোয়ারুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার মায়ের ভাড়া বাসার কাছাকাছি একটি ঝোপ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সেই গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে কি-না তিনি বুঝতে পারছেন না।
কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান জানান, সাধারণ ডায়েরির পর নির্মাণাধীন বাড়ির প্লটে গিয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। তদন্তের নানা তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্লটে কর্মরত রাজমিস্ত্রির হেলপার আনোয়ারুল ইসলামকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অধ্যাপক সাইদা গাফ্ফারকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্মাণাধীন ওই বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনসহ আনোয়ারুলকে আসামি মামলা করেছেন।এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারুল স্বীকার করেন, ঘটনার সময় সাইদা গফফারের হাতে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে সে। এ সময় তাকে বাধা দেয়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে এ শিক্ষিকাকে হত্যা করে। পরে লাশ ওই ঝোপের ভেতর লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সব জানা যাবে। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অধ্যাপক সাইদা হত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ