Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দূর্নীতির আইনে সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:২৭ পিএম | আপডেট : ৬:২৮ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আদালতে দূর্নীতির অভিযোগ এনে পিটিশন মামলা করেছেন এক সাংবাদিক। সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দায়েরকৃত পিটিশন মামলার বাদী হয়েছন সাংবাদিক মো: শাহ আলম। তিনি সাতক্ষীরা সদরের পলাশপোল গ্রামের মো: শাহাদাত হোসেনের ছেলে। শাহআলম সাংবাদিকতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী সহায়তাকারী।


আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল একজন অসৎ চরিত্রের নিয়মলংঘনকারী,দূর্নীতিবাজ,লুটেরা,ছদ্মবেশি, মুখোশধারী,সারকারি টাকা আত্মসাৎকারী,ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় ১১৪৮ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘরগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যা বসবাসের আদৌ উপযোগী নয়। বালি,সিমেন্ট ঠিকমতো না দেওয়ায় অনেক ঘর আপনা-আপনি ভেঙে পড়ছে। এহেন খারাপ অবস্থা দেখে রাতারাতি আসামীর নির্দেশে কলারোয়া উপজেলার তৈলকুপি পুকুর পাড়ে নির্মিত সাতটি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা খরচসহ মোট ঘর নির্মাণে ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই বরাদ্দকৃত টাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বাসস্থান নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক ছিলেন,এস এম মোস্তফা কামাল। তিনি বরাদ্দকৃত টাকার অনুমান ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বাদী তার লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন,সদর উপজেলার হাড়দ্দহা আশ্রয়ন প্রকল্পের বিতরণকৃত ৪৪ টি ঘরগুলোর বারান্দার মেঝে,শৌচাগারের প্যান সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই হাড়দ্দহা আশ্রয়ন প্রকল্প হতে অনুমান ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাবেক জেলা প্রাশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল। তিনি সাতক্ষীরা জেলাকে "গ্রীণ সাতক্ষীরা-ক্লিন সাতক্ষীরা " করার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বাস্তবে কোনো কাজ করেননি। সাতক্ষীরার প্রাণ সায়ের খাল খনন প্রকল্পে ১০ কোটি টাকার বাজেট ছিলো। এখানে যেনোতেনোভাবে কাজ করে অনুমান ৫ কোটি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও আসামী ইটভাটা মালিক সমিতি,মাছ ব্যাবসায়ী সমিতি,স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতি থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি জানান,সাবেক জেলা প্রাশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল ৪০৬/৪২০/৪০৯ তৎসহ ১৯৭৪ সালের দূর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ করেছেন।
মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ