কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন আন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পাপিয়া সারোয়ার মিম নামে এক গৃহবধু নিজের গায়ে নিজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাক এর উপজেলা প্রতিনিধি সামেদুল ইসলাম তালুকদারের উপর হামলা চালিয়ে তার সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনতাই এবং মারধর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কেন্দুয়াপাড়া আইলাখালীর পারে খাল খনন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের বেপারীপাড়া মহল্লা থেকে কেন্দুয়াপাড়া হয়ে পুরনো আইলাখালী খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেয় বিএডিসি। এ জন্য বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় ঢাকাস্থ ফার্মগেট এলাকার মেসার্স পিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার মিটার ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪০ টাকায় এবং শেরেবাংলা নগরস্থ মেসার্স মোহাম্মদ বিল্ডার্সকে ১ হাজার ৮শ মিটার প্রায় ১৯ লাখ টাকায় ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত করে। সম্প্রতি তারা খাল সংস্কার করতে এসে মেয়র সমর্থিতদের বাঁধার সম্মুখিন হলে স্থানীয়ভাবে হাফিজুর রহমান খোকন, তাইবুর রহমান রুবেল ও মোহাম্মদ আলীকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে কাজের দায়িত্ব দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মেয়র তার লোকজন নিয়ে ওই খাল খননের উদ্যোগ নেন এবং স্কেভেটর লাগিয়ে দেন। বিষয়টি খাল খননের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা জানার পর শুক্রবার নিজেরা স্কেভেটর নিয়ে খালের পারে যান। এসময় মেয়র সমর্থিত প্রায় দুই শতাধিক সশস্ত্র নেতাকর্মী ও ক্যাডার খাল খননে বৈধ পক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। অপরদিকে ঠিকাদারের নিযুক্ত প্রতিনিধিরাও মারমুখী অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সামেদুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির সহএকাধিক গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে যান। যাওয়া মাত্রই মেয়র সমর্থিত সশস্ত্র ক্যাডাররা সামেদুল ইসলাম তালুকদারের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে এবং সাথে থাকা স্মার্ট ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ ও উপস্থিত অন্যদের সহায়তায় তিনি উদ্ধার হন।
এসময় খালের অপর প্রান্তে থাকা সাংবাদিক মনির ও শাহাদত তালুকদারকে লক্ষ্য করেও সশস্ত্র ক্যাডাররা হুমকী ছুঁড়তে থাকে। পরে তারা পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ ঘটনায় সর্বমহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে। শেরপুর প্রেসক্লাবের শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের সভায় এঘটনার নিন্দা প্রস্তাব আনা হয় এবং তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আহা্বান জানানো হয়। এ দিকে এঘটনার আরো প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় শেরপুর জেলা সাংবাদিক সমিতি, শেরপুর ইয়ুথ রিপোর্টার্স ক্লাব, শেরপুর অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।