দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ। বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশীই জানে না, তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে থাইরয়েড সমস্যার সকল ধরণকে এক
টোঙ্গায় হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই-এর সর্বশেষ বিস্ফোরণ, যা নাসা অনুমান করেছে যে, পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন টন টিএনটির সমতুল্য, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেখা অগ্ন্যুৎপাতের মতো নয়। এটি প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে সুনামির সৃষ্টি করেছে। এটি প্রায় ১৯ মাইল উচ্চতায় ছাই এবং গ্যাস নিক্ষেপ করেছে, যার কিছু অংশ ৩৪ মাইল উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এবং সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এসব ঘটনা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের মাত্র এক ঘণ্টা বা তারও একটু বেশি পর ঘটেছে। স্মিথসোনিয়ান’স গ্লোবাল আগ্নেয়গিরি প্রোগ্রামের আগ্নেয়গিরিবিদ জেনিন ক্রিপনার বলেছেন, ‘এই অগ্ন্যুৎপাতবিষয়ক এখন পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে তা খুব অদ্ভুত।’
হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই অগ্ন্যুৎপাতের পর সময়সীমার অনেক আগে ক্যারিবিয়ানসহ কিছু জায়গায় সুনামি দেখা দিয়েছে এবং সুনামির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যে অনিশ্চিত পরিবর্তন ঘটেছে। সুনামি সাধারণত আগ্নেয়গিরির তলদেশে ডুবোচরের ভূমিধসের মতো বা পানির নিচের ভূমিকম্পে ভূমির দ্রুত স্থানান্তর থেকে সৃষ্টি হয়। কিন্তু টোঙ্গার এ সুনামির ঢেউগুলো অদ্ভুত ছিল। সুনামির ঢেউ যত দূরে যায়, তার শক্তি তত কমতে থাকে। টোঙ্গার দ্বীপগুলোতে আঘাতকারী ঢেউগুলো ক্ষতিকারক হলেও, আশ্চর্যজনকভাবে সেগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না। ক্রিপনার বলেন, ঘটনাগুলোর বিভ্রান্তিকর মিশ্রন এ বিস্ফোরণশৈলী সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে চলেছে এবং এটি প্রায়শই ঘটে না।’
তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই-এর সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের কারণ বোঝার চেষ্টা করলে, তা ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পৃথিবীর প্রায় সব আগ্নেয়গিরি এখন সমুদ্র পিষ্ঠের নীচে, যা উপগ্রহের ক্যামেরা থেকে দেখা যায় না, এবং ভূগর্ভস্থ গলিত পাথরের স্থানান্তরগুলোকে নির্ণয় করতে সাহায্য করার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম নেই। ক্রিপনার বলেন, ‘যদি আমরা ম্যাগমা সিস্টেমে কী ঘটছে তা সনাক্ত করতে না পারি, তাহলে পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে তাতে আমাদের কোন ধারণা থাকবে না।’
আপাতত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই শান্ত হয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে স্থানীয়রা একে অপরকে সাহায্য করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত বিচ্ছিন্ন হলেও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য অবশেষে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। টোঙ্গার বাসিন্দাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এর সুনামিতে পেরুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও একটি ঝুঁকি আছে যে, আবারও আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হতে পারে। অরবাখ বলেন, ‘আমরা প্রায়শই ভয়ঙ্কর সময়গুলো থেকে শিক্ষা পাই। সম্ভবত এই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পরের ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করলে যা আসতে চলেছে তার ওপর আমাদের আরও জোরালো ধারণা থাকবে।’ সূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।