রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পর কমনওয়েলথের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বছর উদযাপন করছেন। কমনওয়েলথ অব নেশনসের সৃষ্টিতে বড়
হরিদ্বার ধর্মসংসদ ইস্যুতে এবার নতুন মাত্রা। ভারতে যে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ডাক দিয়েছিলেন, এবার তারাই উল্টা মামলা করলেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে।
ঘৃণা ভাষণের জন্য হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নয়, বরং শাস্তি হওয়া উচিৎ মুসলিমদেরই। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করল দুটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত আসার কারনেই হরিদ্বারের ওই ধর্মসংসদে ওই ধরনের ভাষণ দিতে বাধ্য হয়েছেন ধর্মগুরুরা। ‘হিন্দু সেনা’ এবং ‘হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস’ নামের দুটি সংগঠন শীর্ষ আদালতে এই দুটি আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদে হিন্দুত্ববাদী ধর্মগুরুরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছিলেন। মুসলিম গণহত্যায় হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলা হয় সেদিন। ওই ঘটনায় স্বামী ধর্মদাস, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং সম্প্রতি ওয়াসিম রিজভি থেকে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংহ ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ওই ধর্মসভার আয়োজক যতি নরসিংহানন্দ গ্রেফতারও হয়েছেন। ওই ধর্মসভা তথা দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ঘৃণা ভাষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন পাটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশ এবং সাংবাদিক কুরবান আলি।
‘হিন্দু সেনা’ নামের সংগঠনটির দাবি, “এভাবে আধ্যাত্মিক হিন্দু নেতাদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবেদনকারী একজন মুসলিম। হিন্দু ধর্মসংসদ নিয়ে আপত্তি জানানোর কোনও অধিকার তার নেই।” সংগঠনটির সাফ কথা, “হিন্দু সংস্কৃতির উপর আক্রমণের জেরেই এই ধরনের ভাষণ। এই ভাষণকে কোনওভাবেই ঘৃণা ভাষণ বলা যাবে না।” ওই সংগঠনটির সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত বলছেন, ঘৃণা ভাষণ মুসলিমরাও দেয়। গ্রেফতার করতে হলে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, ওয়ারিশ পাঠানদের মতো নেতাকে গ্রেফতার করা হোক। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।