করোনায় নিউরোলজিক্যাল সমস্যা সম্পর্কে কিছু তথ্য
সারস কোভ-২ বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে অধিকাংশ মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভাইরাসটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক জটিলতাও বৃদ্ধি করতে
মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মহিলাদের সাধারণত এ সিনড্রোম দেখা যায়। এ সিনড্রোমের কিন্তু আরো একটি নাম আছে। তা হচ্ছে প্যাটারসন-ব্রাউন-কেলি সিনড্রোম। আসলে প্লামার এবং ভিনসন দুজন পৃথক বিজ্ঞানী। তারা এ অসুখ অবিষ্কার করেছেন বলে একে প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম বলা হয়।
প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোমে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়
১। খাবার গিলতে কষ্ট। ২। দুর্বলতা। ৩। জিহ্বার প্রদাহ। ৪। রক্তাল্পতা। ৫। খাবার গিলতে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।
কেন যে প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম হয় তা আজো অজানা। জীনগত সম্পর্কের কথা অনেকে বলেন। বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতির জন্যও এমনটি হয় বলে কেউ কেউ মনে করেন। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ সমস্যা হয়। যাদের প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম আছে তাদের আবার ইসোফেগাস বা অন্ননালীতে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্লামার ভিনসন খুব পরিচিত সমস্যা নয়। আর বিরল অসুখ ডায়াগনসিস একটু কঠিন। তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইতিহাস নিয়ে, রক্ত পরীক্ষা এবং এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে রোগটি ডায়াগনসিস করে থাকেন।
রক্ত পরীক্ষা করলে আয়রন স্বল্পতা জনিত অবস্থা বোঝা যায়। বায়োপসি করে মাইক্রোসকোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে রোগটি ডায়াগনসিস করা যায়।
চিকিৎসা করলে প্লামার ভিনসন সিনড্রোমের রোগীরা ভালো বোধ করেন। আয়রন ট্যাবলেট দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিয়মিত আয়রন খেলে এবং পুষ্টিকর খাবার এ সিনড্রোম প্রতিরোধ করতে পারে।
ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।