Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরমাণু বর্জ্য ফেলার জায়গা বানাচ্ছে সুইডেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:২৬ পিএম

মাটির তলায় বর্জ্য জমা হবে বলে জানিয়েছে সুইডেন। এক লাখ বছর পর্যন্ত তা সুরক্ষিত থাকবে বলে তাদের দাবি।

১৯৭০ সাল থেকে পরমাণু বিদ্যুতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল সুইডেন। তিনটি পরমাণু চুল্লিতে দেশের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি হয়। কিন্তু সেখান থেকে যে বর্জ্য তৈরি হয়, তা ফেলার জন্য এতদিন নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরমাণু বর্জ্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কারণ তা রেডিওঅ্যাকটিভ হয়। সম্প্রতি সুইডেন জানিয়েছে, রাজধানী থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় পরমাণু বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ৭০ বছর যেখানে নিশ্চিন্তে বর্জ্য জমা করা যাবে।

পাইপের মাধ্যমে মাটির তলায় পাথরের নীচে ৫০০ মিটার গভীরে ওই বর্জ্য নিরাপদে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। জায়গাটি ভরে গেলে তা বিশেষ ধরনের মাটি দিয়ে সিল করে দেওয়া হবে। এরফলে আগামী এক লাখ বছরের মধ্যে ওই বর্জ্য থেকে কোনো বিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে জায়গাটিতে কাজ শুরু হবে বলে সুইডেনের পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে জায়গাটিকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কাজ শেষ হতে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। পরিবেশ মন্ত্রীর দাবি, পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই ওই জায়গাটি চিহ্নিত কার হয়েছে। নতুন এই প্রকল্প শুরু হলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। আপাতত পরিবেশ আদালতের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় প্রশাসন।

প্রতি বছর সুইডেনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন পরমাণু বর্জ্য তৈরি হয়। নতুন জায়গায় ওই বর্জ্য জমা করা যাবে বলে প্রশাসনের আশা। বস্তুত, জার্মানির মতো দেশেরও পরমাণু বর্জ্য জমানোর মতো কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। রেডিওঅ্যাক্টিভ বর্জ্য নিয়ে কী করা হবে, তা বহু পরিবেশবিদের চিন্তার অন্যতম কারণ। সূত্র: রয়টার্স, ডিপিএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুইডেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ