Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে দোকান ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো প্রতিপক্ষ

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার কাঠালতলা বাজারে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের একটি আধাপাকা দোকানঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও তার লোকজন। আর এ নিয়ে ফের মামলা করা হলে বাদীর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় ডাসার কাঠালতলা বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ২০ বছর ধরে ডাসার কাঠালতলা বাজারে আধাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে ধামুসা গ্রামের আবুল বাসার মিলন আহম্মেদের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু হঠাৎ করে একই গ্রামের সৈয়দ নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেন লোকজন নিয়ে উক্ত দোকান ঘর দখলের হুমকি দেয়। আর তার হাত থেকে বাঁচতে দোকানের মালিক সিদ্দিকুর রহমান কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রভাবশালী সৈয়দ বেলায়েত হোসেন আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত শুক্রবার সকালে লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দোকান ঘরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। মামলার বাদি সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের হাত থেকে বাঁচতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন সেখানে গিয়েও যদি তাদের হাত থেকে রক্ষা না পাই তাহলে আর কি করতে পারি। এ বিষয়ে ফের মামলা করা হলে আমি ও আমার পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এখন কি করব বুঝতে পারছি না। তাদের পেশি শক্তির কাছে আমরা বড় অসহায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, উক্ত জায়গা আমি কিনেছি। আমার জায়গার ঘর আমি ভেঙে দিয়েছি তাতে আদালতের কি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে দোকান ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো প্রতিপক্ষ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ