Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাল-আটার দামে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাজারে চাল ও আটার দামে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ, সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দুটি কিনতে ওএমএসের দিকে ছুটছে। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। সে চাল খাদ্য অধিদফতরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) মাধ্যমে ৩০ টাকায় কেনা যায়। তবে রাজধানীতে এ চাল কিনতে হলে ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্রে দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে। কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মিলছে না চাল।
গতকাল সোমবার রাজধানীর রামপুরা, সিপাহীবাগ, খিলগাঁও এলাকার কয়েকটি ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। কিছুটা সাশ্রয়ের আশায় বিক্রয়কেন্দ্র ও ট্রাকসেলের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। পূর্ব রামপুরা লোহারগেট এলাকায় ওএমএসের ডিলার হাজী আনোয়ার আলীর বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে কথা হয় চাল কিনতে আসা ওই এলাকার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে তিনি ৫ কেজি চাল কিনেছেন। এতে তার ১০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ওএমএসের চাল তিনি প্রতি সপ্তাহে কেনেন। কখনো কখনো বরাদ্দ কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পান না। তখন বাধ্য হয়ে বাজার থেকে চড়া দামে কিনে খেতে হয়। এদিকে বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রতিদিন বিক্রি কার্যক্রম চালাতে পারছে না অনেক বিক্রয়কেন্দ্র। গত রোববার চৌধুরীপাড়া এলাকায় ডিলার ফিরোজ মিয়ার দোকান বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, বরাদ্দ না পাওয়ায় বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ রেখেছেন। ওএমএসে ৩০ টাকায় চালের পাশাপাশি ১৮ টাকা দরে আটাও মিলছে। বাজারে চাল ও আটার দামে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ, সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দুটি কিনতে ওএমএসের দিকে ছুটছেন তারা। এতে করে এখন অনেকগুণে বেড়েছে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি।
ডিলার আনোয়ার আলী বলেন, আগে মানুষ এসব এত বেশি কিনতো না। কিন্তু করোনা শুরুর পর থেকে প্রচুর বিক্রি বেড়েছে। সে তুলনায় বরাদ্দ না পাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে।
কেউ কেউ ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। ডিলার অথবা ট্রাকসেল সবখানেই এখন দীর্ঘ লাইন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। অনেক জায়গায় পণ্য নিতে হুড়োহুড়ি করছে মানুষ। এরপরও চাল কিনতে পারলে খুশি তারা।
আমেনা বেগম নামের একজন বয়স্ক নারী বলেন, এখান থেকে চাল কিনতে পারলে ১০০ টাকা কম দাম পড়ে, আটায় ৬০ টাকা। আমরা গরিব মানুষ। এটা আমাদের জন্য অনেক। এদিকে ক্রেতার চাপ বেশি থাকায় কিছুটা কম দামে জীবন ধারণের অপরিহার্য এ দুটি পণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। ডিলারদের দাবি, বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এদিকে ওএমএস কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বাজেট বরাদ্দের বাইরে তিন লাখ টন চাল ও এক লাখ টন গমের বাড়তি বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল-আটার দামে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ