রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মেধাবি শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের মৃতদেহ নাটোরে তার নানার বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকাজুড়ে শোকের মাতম শুরু হয়। এসময় হিমেলের মা-খালা, নানা-নানি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু ও সহপাঠিরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিকআপ ভ্যানে লাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বাস ভতি গাড়িবহর নিয়ে হিমেলের মৃতদেহ নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্রি (নানা বাড়ির পার্শ্বে) নববিধান উচ্চ বিদ্যালয়ে চত্ত¡রে রাখা হয়। এসময় হিমেলের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জানান নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এসময় ফুলে ফুলে হিমেলের কফিন ভরে যায়। হিমেলের মরদেহের সঙ্গে রাবির ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, প্রোভিসিসহ শিক্ষক এবং তার সহপাঠিরা আসেন। এসময় রাবি ভিসি নিহত হিমেলের মাকে পাঁচলক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। বুধবার বাদ যোহর দুপুর ২টার দিকে নাটোর পুরতান বাস টার্মিনাল পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজের জানাযা শেষে তাকে গাড়ীখানা গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

নিহত মাহবুব হাবিব হিমেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও নাটোর নবাব সিরাজ দৌলা সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি নাটোরের কাপুড়িয়াপট্রিস্থ নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সাড় ৮ টার দিকে ক্যাম্পাসের হাবীবুর হলের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় তিনি নিহত হন। এসময় দুর্ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ৫/৬ টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও তারা ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এদিকে তার মৃত্যুর খবর নাটোরে পৌঁছালে তার নানার বাড়ি নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকাজুড়ে শোকের মাতম শুরু হয়।