Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অন্তর্কোন্দলে নৌকার ভরাডুবি

দেবিদ্বারে ৭ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দলীয় অর্ন্তকোন্দল, একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী, তৃণমূলের মত যাচাই না করে জনপ্রিয়তা নেই এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় ৭ম ধাপে অনুষ্ঠিত কুমিল্লার দেবিদ্বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন তৃণমূলের নেতারা। সপ্তমধাপে দেবিদ্বারের ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকার প্রার্থী এবং বাকি ১০ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দেবিদ্বার আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের তিন অনুসারী নেতা এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার ও দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ১২ অনুসারি নেতা নৌকা প্রতিক পেয়েছেন। নির্বাচনে বিজয়ী নৌকা প্রতিকের বিজয়ী চার চেয়ারম্যানই রোশন আলী মাস্টার ও আবুল কালাম আজাদের অনুসারী।

এদিকে রোশন আলী মাস্টার ও আবুল কালাম আজাদের গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি, এ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির জন্য এমপি রাজী ও তার লোকজনই দায়ী। তারা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। অপরদিকে এমপি রাজী ফখরুলের লোকজন জানান, স্থানীয় সংসদ রাজী এ নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তার করেননি। নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে তিনি কোনো প্রার্থীর সাথে দেখা করেননি। এমনকি নেতাকর্মীদের বাড়িতে আসতেও বারণ করেন। এমপি রাজী প্রভাব বিস্তার করলে ওনার সমর্থিত তিন নৌকা প্রার্থী পরাজিত হতো না। এমপি রাজীর অনুসারি ধামতি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু বিজয়ী হয়েছেন। বাকি অধিকাংশ বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী রোশন আলী মাস্টার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদের লোক। তাদের লোকজনই নৌকা পেয়েছে। আবার তারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে।

নির্বাচনে পরাজয় প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজামেহের ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার ও দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কারণে আমার পরাজয় হয়েছে। রসুলপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী কামরুল হাসান জানান, আমি এমপির অনুসারি হওয়ায় রোশন আলী মাস্টার ও আবুল কালাম আজাদ মিলে নৌকার পরাজয়ের জন্য আমার বিপক্ষে কাজ করেছে। জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জানান, দলীয় কোন্দলের ফলে আমি ফেল করেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসারে আমি এলাকায় না থাকলেও আমার দলীয় সকল নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু কুচক্রী মহল দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করে এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ