Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার ভিত্তি ভাষা আন্দোলন

অধ্যাপক আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

১৭৫৭ সালে পলাশী বিপর্যয়ের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতাসূর্য অস্ত যায়, একথা আমরা সবাই জানি। স্বাধীনতাসূর্য অস্ত যাবার আগে এদেশ মুসলিম শাসনাধীনে ছিল। মুসলিম শাসনামলে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে গভীর সম্প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মুসলিম শাসকদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে সাম্রজ্যবাদী ইংরেজরা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার দরবারের হিন্দু আমলা জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উর্মিচাঁদ প্রমুখের সাথে গোপন যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের মুসলিম শাসককে উৎখাত করতে প্ররোচণা দেয় এবং শেষ মুহূর্তে তারা সিরাজউদ্দৌলাকে সরিয়ে মীর জাফরকে নবাব করার লোভ দেখিয়ে তাকে হাত করে। মীর জাফর এতে তার জীবনের এক বিরাট স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা দেখতে পায় এবং তাদের কথা অনুযায়ী যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণে রাজী হয়ে যায়।

এই গোপন ষড়যন্ত্রের ফলে পলাশী যুদ্ধের ময়দানে ইংরেজবাহিনী কর্তৃক নবাববাহিনী আক্রান্ত হলে নবাবের সেনাপতি মীর জাফর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এর স্বাভাবিক পরিণতিতে পলাশীতে নবাব বাহিনীর পরাজয় ঘটে। সিরাজউদ্দৌলা পলাশীতে পরাজয়ের পর যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

মীরজাফরের নবাব হবার স্বপ্নও বাস্তবে সফল হয়নি। যদিও মীর জাফর কিছুদিনের জন্য নবাবের সিংহাসনে বসেছিলেন, কিন্তু সিংহাসনে বসেই তিনি টের পেয়ে যান, তাঁর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সকল ক্ষমতা চলে গেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজদের এবং জগৎশেঠ, উর্মিচাঁদ, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ প্রমুখ ইংরেজসমর্থক হিন্দুদের হাতে। এরপর মীর জাফরের জামাতা মীর কাসেম শ্বশুরের ব্যর্থতার পর বাংলা স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

প্রথমে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা এবং পরে উপমহাদেশের অন্যান্য অংশে ইংরেজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। উপমহাদেশের মুসলিমরা বিদেশি ইংরেজদের শাসন এক দিনের জন্যও মেনে নিতে পারেনি। তারা পলাশীর পর এক শ’বছর ধরে বিচ্ছিন্নভাবে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। এসব সংগ্রামের মধ্যে মজনু শাহের নেতৃত্বে ফকির আন্দোলন, হাজী শরীয়তুল্লাহ-দুদুমিয়ার নেতৃত্বে ফারায়েজী আন্দোলন, মহীশূরের টিপু সুলতানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ, শহীদ সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর নেতৃত্বে জেহাদ আন্দোলন প্রভৃতি একের পর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম চালালেও প্রতিবেশী হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অসহযোগিতা ও ইংরেজের পক্ষ অবলম্বনের কারণে সকল সংগ্রামেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

সর্বশেষে সংঘটিত ১৮৫৭ সালের সিপাহী অভ্যুত্থানেও মুসলমানরা পরাজিত হওয়াতে তদানীন্তন মুসলিম নেতৃবৃন্দ আজাদীকামী মুসলমানদের সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে হলেও ইংরেজদের সাথে মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ কাজে এগিয়ে আসেন উত্তর ভারতের স্যার সৈয়দ আহমদ খান এবং বাংলার নবাব আবদুল লতিফ প্রমুখ। তারা ইংরেজ শাসকদের সাথে সাময়িকভাবে হলেও সুসম্পর্ক স্থাপন করে আধুনিক শিক্ষায় মুসলমানদের শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করেন। এ লক্ষ্যে স্যার সৈয়দ আহমদ খান আলীগড়ে একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন, যা পরবর্তীকালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নীত হয়। অন্যদিকে নবাব আবদুল লতিফের চেষ্টার ফলে কলকাতার সরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিন্দু কলেজের দরজা মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সরকারি হিন্দু কলেজকে প্রেসিডেন্সি কলেজে রূপান্তরিত করা হয়।

পরবর্তী পর্যায়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ সশস্ত্র সংগ্রামের পথ ত্যাগ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশনে বৃটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাসমূহ নিয়ে এমন এক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়, যার প্রতিটি ইউনিটই হবে স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম। সম্মেলনে একথাও জোর দিয়ে ঘোষণা করা হয় যে, এছাড়া অন্যকোন ব্যবস্থাই মুসলমানদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। কায়েদে আজম মুহম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন বাঙালি মুসলমানদের জনপ্রিয় নেতা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

এ প্রস্তাবে উল্লেখিত রাষ্ট্রের নাম কী হবে সে সম্বন্ধে কিছু না বলা হলেও পরদিন সকল হিন্দু সংবাদপত্রে এ সংবাদটি প্রকাশিত হয় ‘পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত’ বলে। পরবর্তীকালে মুসলিম লীগও এ দাবিকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দাবি বলে মেনে নেয় এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতবর্ষের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়। এই আহ্বানের আলোকে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ তুমুল আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে আসে ইংরেজশাসন অবসানে চূড়ান্ত পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পালা। ১৯৪৬ সালে এ লক্ষ্যে অবিভক্ত ভারতের সকল প্রদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে বর্তমান পাকিস্তানের কোন প্রদেশে নয়, একমাত্র বাংলাদেশেই মুসলিম লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করে হোসেন শহীদ সোহরওয়ার্দীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গঠন করতে সক্ষম হয়। ফলে পাকিস্তান আন্দোলনে একমাত্র বঙ্গদেশেই সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে মুসলিম লীগ সরকার পাকিস্তান আন্দোলনে কায়েদে আজমের হাতকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়।

পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলাদেশের এই অসামান্য অবদান থাকার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা ছিল বিরাট। কিন্তু তাদের এব্যাপারে চরম হতাশ হতে হয়। পাকিস্তান আমলে প্রথমে করাচী এবং পরে ইসলামাবাদ পাকিস্তানের রাজধানী নির্ধারিত হয়। এর ফলে সাবেক পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমানের পাকিস্তান) অঞ্চল উন্নয়নের বিরাট সুযোগ লাভ করে। আরেকটি বিষয় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববঙ্গে বাস করতো সমগ্র পাকিস্তানের অধিকাংশ জনগোষ্ঠি এবং তাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। অথচ, পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অবাঙালি তথা উর্দুভাষীদের বিরাট সংখ্যাধিক্যের সুযোগ পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ধরে নিয়ে পোস্ট কার্ড, মানি অর্ডার ফর্ম, এনভেলপ প্রভৃতিতে ইংরেজ আমলের ধারাবাহিকতায় ইংরেজির সাথে শুধু উর্দু ভাষা ব্যবহার করা শুরু হয়। এতে পূর্ববঙ্গের সাধারণ শিক্ষিত সমাজের মধ্যে ভাষা সম্পর্কে সরকারের বাংলা বিরোধী মনোভাব স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে যায়।

এই প্রেক্ষাপটেই ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংস্থা তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। সুতরাং এ অভিযোগ আনা অত্যন্ত অন্যায় হবে যে, ভাষা আন্দোলন শুরু করা হয় পাকিস্তান ধ্বংসের উদ্দেশ্যে। কারণ, যারা ভাষা আন্দোলন শুরু করেন তারা সবাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক। ভাষা আন্দোলনের মেনিফেস্টো-রূপী ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামের যে পুস্তিকা তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়, তাতে তিনটি রচনা স্থান লাভ করে। একটি তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের তরুণ শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেমের। অপর দু’টি রচনা ছিল বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ কর্তৃক রচিত। শেষোক্ত দুজন ছিলেন যথাক্রমে ঢাকার পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ এবং কলকাতার পূর্ব পাকিস্তান রেনেসা সোসাইটির নেতা হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনের সাংস্কৃতিক নেতা।

‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন যুক্তি ও তথ্য সরকারকে বুঝিয়ে বলা হয় যে যদিও পাকিস্তান রাষ্ট্রের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা বাংলা তবুও রাষ্ট্রীয় সংহতির স্বার্থে বাংলার সাথে উর্দুকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি মেনে নেন ভাষা সৈনিকরা। আগেই বলা হয়েছে, ভাষা আন্দোলন ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। এরপর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্ম হয়। জন্মের পর হতেই এই সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের সূচিত ভাষা আন্দোলনকে সক্রিয় সমর্থন দিতে থাকে। ১৯৪৭ সালে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনের কাজকে জোরদার করার লক্ষ্যে অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়াকে কনভেনর করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্র লীগ ভাষা আন্দোলনে যোগ দেয়ার পর তমদ্দুন মজলিস ও ছাত্র লীগের যুগপৎ সদস্য শামসুল আলমকে কনভেনর করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠিত হয়। এই সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রথম সফল হরতাল পালিত হয় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। সে হরতাল সাফল্যমণ্ডিত হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের তদানীন্তন চিফ মিনিস্টার খাজা নাজিমুদ্দিন ভাষা সৈনিকদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হন। কিন্তু ১৯৫২ সালে খাজা নাজিমুদ্দিন তাঁর অঙ্গীকার থেকে সরে এসে উর্দুকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে মন্তব্য করেন। ফলে নব পর্যায়ে ভাষা আন্দোলন সূচিত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনই এক পর্যায়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাত্র মিছিলে বাধা, গ্রেফতার ও গুলি চলে। গুলিতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার প্রমুখ শহীদ হন। পরে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৬২’র আন্দোলন, ১৯৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, স্বায়ত্ত্বশাসনের আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন এবং অবশেষে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের আগে সমগ্র পাকিস্তানে এক সাথে কোনো সাধারণ নির্বাচন হয়নি। এর আগে যে নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন জনবিচ্ছিন্ন মুসলিম লীগ পরাজয় বরণ করে সে নির্বাচন সীমাবদ্ধ ছিল পূর্ব বঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে। ১৯৭০ সালে সমগ্র পাকিস্তানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন নির্দিষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে জয়ী আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগুরুত্ব লাভ করলেও কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকার নির্বাচনে ফলাফলের আলোকে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার পরিবর্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে। পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৫ মার্চ রাতেই গ্রেফতার করা হয়। এর বিরুদ্ধে পূর্বপাকিস্তানের জনগণ জান কবুল করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মাত্র নয় মাসের মধ্যে তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতার ভিত্তি ভাষা আন্দোলন
আরও পড়ুন