Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এবার বাইডেন-পুতিন বৈঠকের সম্ভাবনায় পানি ঢেলে দিল ক্রেমলিন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম

ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে শীর্ষ বৈঠকের কথা ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, তাতে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়া বলছে, দুই নেতার মধ্যে এরকম সামনা সামনি শীর্ষ বৈঠকের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এখনো পর্যন্ত নেই।–বিবিসি বাংলা

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স জানিয়েছিল, মস্কো যদি ইউক্রেনে অভিযান না চালায়, দুই নেতার মধ্যে এরকম একটি বৈঠকের ব্যাপারে দুই পক্ষ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। কিন্তু ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আপাতত কূটনীতি চলবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে। বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও একের পর এক টেলিফোন কূটনীতিতে এমন একটা আশা তৈরি হয়েছিল যে, আলোচনার মাধ্যমে এই সংকটের একটা সমাধান হবে। কিন্তু ক্রেমলিনের বিবৃতি যেন এতে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল। এদিকে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সভাপতিত্বে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠক হচ্ছে, যেখানে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। ক্রেমলিন স্পষ্ট করেই বলছে, এটি কোনো নিয়মিত বৈঠক নয়।

রাশিয়ার জরুরি দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ৬০ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আলেক্সান্ডার চুপ্রিয়ান বলেন, এ পর্যন্ত ৬১ হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ায় ঢুকেছে। তিনি বলেন, নয়টি ট্রেনে করে কিছু মানুষকে এখন রাশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্ধার অভিযানকে সাজানো বলে বর্ণনা করছে। তারা বলছে, এটি ইউক্রেনে রাশিয়ার আসন্ন অভিযান থেকে দৃষ্টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার একটা চেষ্টা। এদিকে, পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্কে রবিবার যে গোলাবর্ষণে দু’জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়, তার জন্য রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে।

তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেনের সরকার। তারা বলছে, এটি আরেকটি সাজানো হামলার ঘটনা, যার মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর সংঘাতের উস্কানি দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিনে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা বেশ বেড়ে গেছে। ডনবাস অঞ্চলে শনিবার দু’জন সরকারি সেনা নিহত হয়। এই এলাকাটিও নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবদীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ