Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারী যানের চাকায় পিষ্ট পিচ ঢালা পথ

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুত বিনষ্ট হয়ে রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবার একটি প্রধান কারণ হলো ভারী যানবাহন চলাচল। সড়কগুলোর ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি ভারী মালবাহী গাড়ি নিয়মিতই চলাচল করায় অর্ধশত গ্রামীণ সড়ক দ্রুত বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় সংস্কারের পরের বছর ও টিকছে না এইসব সড়ক। মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভারী ট্রাকের পাশাপাশি চলছে সাড়ে ৪ টন ওজনের প্রায় শত শত মাঝারি ট্রাক ও পিকআপ নিয়মিত চলাচল করছে এইসব সড়কে। দু’এক টনের পিকআপে টানছে ৩ থেকে ৫ টন। আবার অনেক সময় ৫ টনের ট্রাকে করে ১০ টন দিয়েও চালায় এইসব সংকীর্ণ অনুপোযোগী গ্রামীণ সড়ক দিয়ে। অথচ এই বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না কেউ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সড়ক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরামর্শে মহাসড়ক থেকে সড়কগুলোর প্রবেশদ্বারে প্রতিরোধক বার স্থাপন করা হয়। এতে মস্তাননগর ও আবুতোরাব সড়কের কিয়দায়সের কিছু সড়ক টেকসই রাখা গেলে ও অধিকাংশ সড়ক এখনো উন্মুুক্ত। কোন কোন সড়কে প্রতিরোধক ব্যবস্থা করা হলেও রাতের আঁধারে আবার সেগুলো খুলে ফেলার অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার করেরহাট, জোরারগঞ্জ, ওচমানপুর, ইছাখালী, মায়ানী, মঘাদিয়া, মিঠানালা, কাটাছরা, হাইতকান্দি, ওয়াহেদপুর, খৈয়াছরা, দুর্গাপুর, সাহেরখালী ইউনিয়নের সকল রাস্তা এখনো উন্মুুক্ত। নিজামপুর থেকে সাহেরখালী বয়ে যাওয়া সড়ক, সাহেরখালী-গজারিয়া সড়ক, আবুতোরাব সড়ক, দুর্গাপুর কাটাছরা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কগুলো দিয়ে নিত্য ভারী ট্রাক অনেক সময় বড় ট্রাকও ঢুকিয়ে দিতে দেখা যায়। অথচ এই সড়কগুলোর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১ টন। আর সেখানে ১০ টনের গাড়ি চলতে গিয়ে রাস্তাগুলোর পাশ দিয়ে ধসে যাচ্ছে। কোথাও গর্ত হচ্ছে। কোথাও ফেটে খান খান হয়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন ইটভাটার ইট, বালি মহালের বালি কিংবা বন উজাড় করা বিভিন্ন কাঠ বহনকারীরাও অনেক স্থানে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি করছে। যেমন করেরহাটের অলিনগর আমলীঘাট সড়ক, কয়লা সড়ক অন্যতম। এইসব সড়ক পথে এখন বাধ্য হয়ে গাড়িতে হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা অনকেই অভিযোগ করে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না কিছু মানুষের দেখেও না দেখার ভান করায়। বিষয়টি সচেতনতা ও উদ্যোগের অভাবে। করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন এই বিষয়ে বলেন এই বিষয়ে তিনি শীঘ্রই স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সকলের সমন্বয়ে রাস্তাগুলো সংস্কারের পর ভারী যানবাহন প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী এএসএম রাশেদ রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শীঘ্রই উপজেলার সকল সড়কের মুখে সংস্কার কাজ করেই প্রতিরোধক দেবার ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরপর এই বিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্যও নেবার কথা ভাবছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারী যানের চাকায় পিষ্ট পিচ ঢালা পথ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ