Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আ.লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর ইসি’র নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ আছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর হয়েছে বলে মনে করছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও সন্দেহ আছে। গতকাল রোববার বনানীর পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাপা নির্বাচনে যাবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনই বিষয় নয়। নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য আরও দুই বছর বাকি। জাতীয় পার্টি এমনিতে একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম বলা সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি কি মনে করছে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি কী বলল সেটা আমাদের বিষয় না। কারণ বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের প্রথম বলেছিল দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেও সেটি নিরপেক্ষ হবে না।

জাপা মহাসচিব বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো- যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে সেটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি আমলা নির্ভর কমিশন। এ কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে এই নির্বাচন কমিশনের আগামী কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে যে তারা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে পারছে কিনা। তখনই বোঝা যাবে এই কমিশনের নিরপেক্ষতা কতটুকু। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কাজ করবেন, তারা কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। না শুনলে কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, কমিশনের বাইরের যেসব কর্মচারী নির্বাচনের সময় কাজ করবেন, তারা যদি কথা না শোনেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করা। সে আইনটি সরকার করেনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন কমিশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ