Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা তিন মাস স্থগিত

বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না : জানতে রুল জারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২২, ১২:০৫ এএম

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

গত সোমবার পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিলের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। তিনি ৩০ জানুয়ারি এ আবেদন করেন। ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। আদালত অব্যাহতি দেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন। গত বছর ১৫ নভেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত বছর ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে পরীমণিকে আটক করা হয়। পরে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পরীমণির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চার্জশিট দাখিলের পর গত ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন নেন।

চার্জশিটে বলা হয়, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ