Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা

টাকা ও রুবলের সরাসরি বিনিময় পদ্ধতি নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার কোনো সরাসরি বিনিময় মাধ্যম নেই। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং পেমেন্ট সুইফটের আওতায় থাকায় এতোদিন এর কোনো দরকারও হয়নি। এবার যুদ্ধ ইস্যুতে সুইফট নিষেধাজ্ঞায় দেশটির সঙ্গে লেনেদেন নিয়ে নানা শঙ্কা ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত রাশিয়ায় বাংলাদেশের রফতানি প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য থাকলেও টাকার সঙ্গে রাশান মুদ্রা রুবলের সরাসরি কোনো লেনদেন ব্যবস্থা নেই।

রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম পারভেজ তমাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় ৬০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য রফতানি হয় এবং দেশটি থেকে বেশকিছু খাদ্যপণ্য, খনিজ ও সার আমদানি করা হয়। যুদ্ধের ফলে এসব পণ্য আমদানি-রফতানিতে কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে, সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।
এতদিন সুইফট সিস্টেমের আওতায় থাকায় মুদ্রা বিনিময়ে খুব বেশি সমস্যাও হয়নি। তবে, ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়া সুইফট লেনদেনের নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়লে বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ।
কোম্পানি আইন ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প রাশিয়ার করার কথা এবং তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ প্রায় ৬৬ কোটি ডলার এগুলো সবই নির্ভর করবে যুদ্ধ কতদিন চলবে তার ওপর।
তবে এসব নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রূপপুরসহ সরকারি প্রকল্পের লেনদেন কিভাবে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। একই সঙ্গে রফতানি বা আমদানি ব্যয় মেটাতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লেনদেন করার কথাও বলছে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেসব ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের মাধ্যমে লেনদেন হবে না এটা নিশ্চিত। তবে, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের মুদ্রা বিনিময় হয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়, ফলে বাকি থাকছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, যুদ্ধের কারণে যদি পণ্যবাহী জাহাজই যেতে না পারে তাহলে সেখানে লেনদেন বা মুদ্রা বিনিময়ের প্রশ্নই আসছে না। তবে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান বাংলাদেশের মুখপাত্র। পশ্চিমা দেশগুলোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এরই মধ্যে রাশিয়ার বেশ কিছু ব্যাংকের ওপর সুইফট সিস্টেমের নিষেধাজ্ঞা আগামী ১২ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাকা ও রুবলের সরাসরি বিনিময় পদ্ধতি নেই

১০ মার্চ, ২০২২
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ