Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ঘনঘটা

সমুদ্র উত্তাল বন্দরে সতর্ক সঙ্কেত : কমেছে গরমের দাপট

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

চৈত্র মাসে অনেকটা অসময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের ঘনঘটা তৈরি হয়েছে। গতকাল রাতে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বার্তায় জানা গেছে, উত্তর আন্দমান সাগর ও এর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রাত পর্যন্ত আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করে। গভীর নিম্নচাপটি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গত মধ্যরাতে ক্রমেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছিল। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিকে যাবে অর্থাৎ গতিমুখ আজ-কাল স্পষ্ট হতে পারে। এর প্রভাবে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে চলমান তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের দাপট কেটে যাচ্ছে। তাছাড়া পরবর্তীতে বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল রাতে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, উত্তর আন্দমান সাগর ও এর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০০ কি.মি. দক্ষিণে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১১৫ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৪০ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গতকাল মধ্যরাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর্যায়ে ছিল।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে চৈত্র মাসের শুরু থেকেই দেশের অনেক এলাকায় তাপদাহ গতকালও অব্যাহত থাকে। ভ্যাপসা গরমের কারণে সর্দি-কাশি, জ¦র, ডায়রিয়া, শ^াসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪.৬ এবং সর্বনিম্ন ২৩.৪ ডিগ্রি সে.। তবে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা কমে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ