Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মনোহরদীতে ৭ নভেম্বরের সভায় পুলিশি হামলা

প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : মনোহরদী থানা বিএনপি আয়োজিত ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভা প- করে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল (শনিবার) বিকেলে মনোহরদী থানা পুলিশের এসআই মোমেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে সমাবেশ প- করে দেয়। গত ৮ নভেম্বর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসায় পুলিশী হামলার পর মনোহরদীতে এটি পুলিশের দ্বিতীয় হামলা।
জানা গেছে, পুলিশ হামলা চালিয়ে আলোচনা সভার ব্যানার ছিড়ে নিয়ে গেছে। চেয়ার ভেঙে নদীতে ফেলে দিয়েছে। নেতাকর্মী ও শ্রোতাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন ও থানা বিএনপির আহ্বায়ক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন শাহজাহানের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। এসআই মোমেন ও তার সহযোগী পুলিশ লাঠি নিয়ে কয়েকবার এই দুই মুক্তিযোদ্ধা নেতাকে মারধোর করতে উদ্যত হয়। ঘটনার পর বেলা সাড়ে ৪টায় থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল বাছেদ মোলা ভুট্টো জানিয়েছেন, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে মনোহরদী থানা বিএনপি নারান্দী চীন-বাংলা মৈত্রী সমিতির মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন। সভাপতি ছিলেন থানা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন শাহজাহান। সভায় উপস্থিত ছিলেন থানা যুবদলের সভাপতি মিল্টন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিপ্লবসহ যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শান্তিপূর্ণভাবে সভা চলাকালে সোয়া ৩টার দিকে মনোহরদী থানার এসআই মোমেনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সশস্ত্র পুলিশ লাঠিসোটা নিয়ে সভায় হামলা করে। উপস্থিত জনগণ কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা পেছন থেকে জনতার উপর লাঠিচার্জ করে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব হয়ে গেলে পুলিশ সভার চেয়ারগুলো লাঠির আঘাতে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে সেগুলো লাথি মেরে মেরে পার্শ্ববতী নদীতে ফেলে দেয়। এসময় এসআই মোমেন ও তার সহযোগী কনস্টেবলরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অশালীন-অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে কর্নেল জয়নুল আবেদীন সমাবেশে হামলার কারণ জিজ্ঞাসা করলে এসআই মোমেন তাকে লাঠি উঁচিয়ে মারতে উদ্যত হয়।
পরে খবর পেয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে এসে বিএনপি নেতা কর্নেল জয়নুল আবেদীনের সাথে কথা বলেন। তিনি এসআই মোমেনের অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক হলেও এখানে সমাবেশ করার অনুমতি নেই। উপরের নিষেধ কোনোক্রমেই সমাবেশ করা যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মনোহরদীতে ৭ নভেম্বরের সভায় পুলিশি হামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ