Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন আন্দোলন

সেলিম আহমেদ, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রাচীনকালে রাজা-বাদশা-জমিদাররা প্রজাদের থেকে খাজনা আদায় এবং জরুরি সতর্ক বার্তার জন্য ঢাক- ঢোল পিটাতেন, তেমনি দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের আদমপুরের পরিবেশবিদ প্রভাষক মতিন সৈকত। বিষমুক্ত ফসল নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন আন্দোলন, প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ, খাল-নদী পুনঃখনন, সামাজিক বনায়ন, বিষ বা কীটনাশক, পলিথিন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বাইশ বছর ধরে মতিন সৈকতের ঢোল জনগণকে আকৃষ্ট করেছে। এছাড়াও তিনি নাগরিক বর্জ্য থেকে নাগরিক সার বা সিটিজেন ফার্টিলাইজার রূপান্তরের জন্য কাজ করে চলছেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পাখি উদ্ধার এবং অবমুক্তি নিয়ে সংগ্রাম করছেন। মতিন সৈকত ১৯৮৭ সালে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর লেখা অভিনন্দনপত্র পেয়ে উজ্জীবিত হন। তিনি ফসলের মৌসুমে ঢোল পিটিয়ে মাইকিং করে এলাকার কৃষকদের কীটনাশক বা বিষের ভয়াবহ ক্ষতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেন অব্যাহত ভাবে। মতিন সৈকত তার সৃজনশীল বহুমুখী কার্যক্রমের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার ও সম্প্রসারণের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে দুই বার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক গ্রহণ করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে একক ব্যক্তি হিসেবে তিনি ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদকের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বিশিষ্ট সমাজ বিশ্লেষক অশোক সিনহা রায় বলেন, মতিন সৈকতের নদী-খাল বাঁচানোর লড়াই পরিবেশ আন্দোলনের এক গৌরবজনক অধ্যায়। তাকে দেখে নদীমাতৃক দুই বাংলার মানুষ নদী-খাল বাঁচানোর লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হোক।
মতিন সৈকতকে নিয়ে অব দ্যা বেটেনটেক দি ক্রপ ক্রুসেডার, এরিয়েল প্রেট্রিয়ট, এম্যান টুবিফলোইড, এন লাইটেড মতিন সৈকত, মতিন সৈকত এরিয়েল ফ্রেন্ড অব ফারমার্স ইন কুমিল্লা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সারোয়ার জামান বলেন ‘আদমপুর গ্রামের পরিবেশযোদ্ধা অধ্যাপক মতিন সৈকত উপজেলার কৃষকদের খুব আপনজন। সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলে কৃষকের পাশে থেকে সব সময় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। তিনি ২৭ বছর ধরে নাম মাত্র মূল্যে মাত্র দু’শ’ টাকায় বিঘাপ্রতি সেচ ব্যবস্থা করে কৃষকদের সেবা দিয়ে আসছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি জানান জেলায় পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মতিন সৈকতের নানা কর্মকান্ড সত্যই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল অব. মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূইয়া বলেন, মতিন সৈকত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়নে কাজ করে জতি গঠনে অবদান রাখছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ