Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পেনাল্টিতে হ্যাটট্রিক মিস রোনালদোর

প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক
সুযোগ ছিল জার্মানির জার্ড মুলার ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের রবি কিনকে ছাড়িয়ে উইরোপের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার। কিন্তু পেনাল্টি মিসের কারণে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আরোকটি পেনাল্টিগোলসহ জোড়া গোল করে ঠিকই লাটভিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তার দল পর্তুগাল।
ছিনিয়ে নেওয়াই তো। নিজেদের মাঠে ২৮ মিনিট পর্যন্ত পর্তুগিজদের গোলশূণ্য করে রাখে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ১১৭ নম্বর দল। পেনাল্টি থেকে এরপর দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। এরপরও নিজেদের রক্ষণ সামলে সমানে লড়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা। ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি  থেকে এগিয়ে যেতে পারত পর্তুগাল। কিন্তু পোস্টে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন রোনালদো। ৬৭তম মিনিটে আরতারস জিউজিন্সের গোলে লাটভিয়া সমতায় ফিরলে টনক নড়ে উইরোপ চ্যাম্পিয়নদের। দুই মিনিট পরই দলকে এগিয়ে নেন উইলিয়াম কারভালহো। শেষদিকে রিকার্ডো কারেসমার ক্রস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার ৬৮তম গোল। ইউরোপে জাতীয় দলের হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল আছে মিরোসøাভ ক্লোসা (৭১), সান্দোর ককসিস (৭৫) ও ফ্রেঞ্চ পুসকাসের (৮৪)। পর্তুগালের চতুর্থ গোলটি আসে ব্রুনো আলভেসের হেড থেকে।
পেনাল্টিসহ আরো কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে মুলার ও কিনকে ছাড়িয়ে এককভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারতেন ‘সিআর-সেভেন’। কিন্তু দুর্বল প্রতিপক্ষ ভেবে দলের বাকি সদস্যের মত তিনিও ছিলেন অনেকটা গা ছাড়া মেজাজে। প্রতিপক্ষের সমতাসুচক গোলই যে দলকে চাঙ্গা করে ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকারও করলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার ন্যানি, ‘যখন তারা গোলটি করল এরপর পুরোটাই আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। অন্য দল হলে চুপসে যেত কিন্তু আমরা দ্রুত এর জবাব দিয়েছি।’
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে পর্তুগাল। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড। ফেরো আইল্যান্ডকে এদিন ২-০ গোলে হারায় সুইসরা।
ব্যর্থতার আবর্তে থাকা নেদারল্যান্ডসও লুক্সেমবার্গের মাঠ থেকে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে। রোবেনের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মেম্ফিস ডিপাইয়ের জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত হয় বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টদের। ‘এ’ গ্রুপে সুইডেনের সমান ৭ পয়েন্ট হলেও গোলে ব্যবধানে এগিয়ে রোবেনের দল। সমান ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্রান্স।
তবে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরশু রাতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে ইউরোপের নবশক্তি হয়ে ওঠা বেলজিয়াম। ঘরের মাঠে এস্তোনিয়াকে ৮-১ গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনরা। জোড়া গোল করেন মার্টিনেস ও লুকাকু, একটি করে মেনিয়ার, হ্যাজার্ড ও কারাসকো। বাকি গোলটি ছিল আত্মঘাতি। পয়েন্ট তালিকাও শাসন করছে বেলজিয়ানরাই। ৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট তাদের। ‘এইচ’ গ্রুপে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই গ্রিস। তবে বেলজিয়ামের জয় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে চেলসির জন্য। ৭৪তম মিনিটে কনুইয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের সবচেয়ে বড় তারকা হ্যাজার্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেনাল্টিতে হ্যাটট্রিক মিস রোনালদোর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ