Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রমজানে লোডশেডিংয়ে নাকাল ঝিনাইগাতীবাসী

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

রমজানে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নাকাল ঝিনাইগাতীবাসী। বিদ্যুৎ-এর ঘন ঘন যাওয়া-আসায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঝিনাইগাতীবাসী। ইফতার-তারাবিহ, সাহরিতে এবং দুঃসহ্য গরমে সাধারণ মানুষ রাত-দিন লোডশেডিংয়ের তীব্র যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঝড়তো দূরের কথা আকাশে সামান্য মেঘ দেখা দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। ঝড় হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা অনেকটা স্বাভাবিক। কিন্ত সামান্য বৃষ্টিতেও বিদ্যুৎ না থাকাটা অনেকটাই বেমানান হলেও জনসাধারণের কিছুই করার বা বলার নেই। অথচ সঙ্গত অজুহাত ছাড়াই বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে অতিষ্ঠ। ঝড় ও বৃষ্টি নেই তারপরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ যেমন একরকম রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী মসজিদ মার্কেটের রোকেয়া মেডিক্যালের মালিক শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, সরাফত জুয়েলারির মালিক মো. সরোয়ারর্দী দুদু মন্ডল, মা জুয়েলারি মালিক আইয়ুব আলী ফরসা, এস. কে. সাত্তার মার্কেটের ইতি ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক খোরশেদ আলম, কম্পিউটার মেকানিক্স এবাদুর রহমান, আতিক স্টোরের মালিক সিদ্দিকুর রহমান, অরজু ফ্যাশনের পরিচালক আরিফ, তাহমিনা ফ্যাশনের আশ্রাফুল আলম, ঝিনাইগাতী ড্রাগ হাউজের ডা. মো. শাহজাহান প্রমুখ ব্যবসায়ীগণ জানান, এই রমজানের দিনে কোনো প্রকার নোটিশ ব্যাতীরেকে বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলায় আমরা প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখারও বরোটা বেজেছে। কোনো উজর-আপত্তি নেই, ইচ্ছা হলেই লোডশেডিং। যেনো মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। তাও ১-২বার নয় দিনে রাতে ৫-৭ বার করে বিদ্যুৎ চলে যায়। ২/৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎয়ের খবর থাকে না। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের ঝিনাইগাতী আবাসিক প্রকৌশলী মো. রুকুনুজ্জামান বলেন, না, কোনো লোডশেডিং নেই। ঝড়-বৃষ্টির দিন, লাইনে কাজ থাকে, তাই বিদ্যুৎ থাকে না। এটাকে লোডশেডিং বলা যায় না। লাইন বা গ্রিডে সমস্যার কারণে সাধারণত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এছাড়া কোনো লোডশেডিং নেই। তবে, বিভিন্ন এলাকায় মেরামতের কারণে সাময়িক লাইন বন্ধ রাখাকে লোডশেডিং বলা যায় না।
ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে এসব সমস্যাতো হচ্ছেই, বোরো আবাদেও সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে। মেশিন স্টার্ট দেয়ার পরই বিদ্যুত চলে যায়। তা হলে বুঝেন কেমন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে সেচ সঙ্কটে পড়েছে বোরো চাষিরা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আবাসিক প্রকৌশলীকে (বিদ্যুৎ) বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ থাকছে না নিয়মিত। সমস্যা থাকলে যেন মাইকিং করে জনগণকে অবহিত করা হয়। আবাসিক প্রকৌশলী বলেছেন, ময়মনসিংহ গ্রিডে কাজের জন্য এমন হচ্ছে। ক্রটি কেটে গেলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত এখনও তো হচ্ছে না। রোজা রমজানের দিন, মানুষের সমস্যা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ