অধিকৃত কাশ্মীরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন করার ভারতীয় পরিকল্পনার নিন্দা করেছে চীন
-(5).jpg)
ভারত কতৃক অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের ভারতীয় প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে
বিশ্বজোড়া ভূকৌশলগত সংঘাতের মধ্যে প্রতিবেশী বলয়কে সংহত রাখার গুরুত্ব বেড়েছে। ঘরোয়া আলোচনায় এমনটাই জানিয়েছে ভারত। প্রকাশ্যে জানানো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির গুরুত্ব। সূত্রের খবর, এই আবহে আজ বৃহস্পতিবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। দুই প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে মহামারি পরবর্তী বিশ্বে সহযোগিতা নিয়েও। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, জয়শঙ্করের ঢাকা সফর হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের প্রস্তুতির জন্যও বটে। এক দিনের ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ভারত-বাংলাদেশ চলতি দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে নয়াদিল্লিতে ‘ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটি’র বৈঠক হবে আগামী মে মাসের শেষে। এর পর জুনে গুয়াহাটিতে ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ’। সেখানে পার্শ্ববৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মুখোমুখি বসবেন জয়শঙ্কর। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে আয়োজিত মৈত্রী দিবসের লোগো বাছাই সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তার কথায়, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে। আমাদের পরিকল্পনা একে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’
বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে গত বছর পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। কূটনৈতিক প্রথা অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে যাওয়ার কথা। গত বছর মার্চে মোদির বাংলাদেশ সফরের পরেই দু’দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল। সে সময় দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনার টিকা রফতানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই, ভারতের থেকে প্রথম টিকা পাওয়ার পর, দ্বিতীয়টির জন্য অপেক্ষমান বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভের আঁচ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে লাগে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে পণ্য পাঠানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এবং বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ভারতীয় পণ্যের যাত্রাপথের বেশ বড় একটা অংশে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকা থাকছে। তখন ঢাকার রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য ছিল, ভারত নিয়ে যদি বাংলাদেশের আমজনতার ক্ষোভ থাকে, তা হলে এই সংযোগ-প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
শুধু বকেয়া টিকা না দিতে পারার বিষয়টিই নয়, বাংলাদেশের আবেগকে আঘাত করা হয়েছে বলে কখনও ঘরোয়াভাবে, কখনও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছে ঢাকা। সিএএ-এনআরসি বিতর্কে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে সমবন্ধনীতে জোড়ার বিষয়গুলো বারবার উঠে এসেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, সেসব ঝড়-ঝাপটা কাটিয়ে আবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়, শেখ হাসিনার ভারত সফর দু’দেশের সম্পর্ককে তা আরো সমৃদ্ধ করবে। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।