Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঈদ অনুষ্ঠানের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ঈদের ইত্যাদি

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দুই বছর পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্মিত ঈদের ইত্যাদি প্রচার হবে। করোনার কারণে ইত্যাদি প্রচার হলেও তা ছিল দর্শকবিহীন। এবার বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদের ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। সব শ্রেণী পেশার প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। বৃষ্টিপ্রবণ মৌসুম হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে করা সম্ভব নয় বলে এবারও ঈদের ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে মিরপুর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। ইনডোর স্টেডিয়ামের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ স্থান জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল নান্দনিক সেট। বর্নাঢ্য এই আয়োজনে পুরো অনুষ্ঠানটিতে এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে-‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ’ এই গানটি দিয়ে। একসময় ঈদ অনুষ্ঠানমালায় এই গানটি ছিল একরকম অবহেলিত। ইত্যাদি গত তিন দশক ধরেই হাজার হাজার মানুষ নিয়ে ঢাকায় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে এই গানটি পরিবেশন করে আসছে। যে কারণে এখন ঈদের সময় সব চ্যানেলেই এই গানটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় এবারে নৃত্যে-ছন্দে-আনন্দে চিরচেনা এই গানটি পরিবেশন করবেন করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে বিশেষ ক’জন কণ্ঠশিল্পী, যারা চিকিৎসার পাশাপাশি সংগীত চর্চাও করে থাকেন। তাদের সঙ্গে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন দুই শতাধিক সেবিকা। এবারের ঈদ ইত্যাদিতে একটি দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ ৫ জন শিল্পী। তারা হলেন রবি চৌধুরী, শুভ্রদেব, এস আই টুটুল ও বাপ্পা মজুমদার। গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মেহেদী। গানটির চিত্রায়নে শিল্পীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে ট্রমা ইনস্টিটিউটস-এর শতাধিক শিক্ষার্থী। যারা গানটির সঙ্গে বিভিন্ন কোরিওগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এবারের ইত্যাদিতে নৃত্যেও বৈচিত্র্য এনেছেন হানিফ সংকেত। আমাদের পারিবারিক বন্ধন নিয়ে এবারের ঈদের ইত্যাদিতে একটি ভিন্নধর্মী নৃত্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। নৃত্যটি পরিবেশন করেছেন জনপ্রিয় নৃত্যজুটি শিবলী-নিপা ও তাদের দল। আর ভিন্ন পরিকল্পনার এই নৃত্যটিতে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনজন বয়োজ্যেষ্ঠ অভিনয় শিল্পী দিলারা জামান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও আবুল হায়াত। ঈদ ইত্যাদির নানান চমকের একটি হচ্ছে দস্যু চরিত্রের ৪ তারকার সংলাপ। অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত সেকালের দস্যুদের চরিত্রগুলি কাল্পনিক না হলেও অবস্থাটা কাল্পনিক। আর কাল্পনিক এই দস্যু চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় চারজন অভিনয় তারকা-শহীদুজ্জামান সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, মীর সাব্বির ও তানিয়া আহমেদ। পর্বটি যেমন মজার তেমনি এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে আমাদের অনেক সমকালীন সমাজচিত্র। এবারের ঈদ ইত্যাদিতে সুরে সুরে গানের গল্পে ফেরদৌস ও তারিনের অভিনয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে এক দম্পতির তিন সময়ের ঈদের কথা। এই গানে টিভি পর্দায় দর্শকরা প্রথমবারের মত তারিন ও ফেরদৌসকে তিনটি ভিন্ন রূপে দেখতে পাবেন। করোনা ও তার পাশর্^ প্রভাব নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী গান গেয়েছেন অভিনয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। এই পর্বটিতে উঠে এসেছে অনেকগুলো সমসাময়িক সচেতনতামূলক বিষয়। শিল্পীদের অভিনয় নৈপূন্য এবং পরিবেশনার চমকে এই পর্বটিও দর্শকদের আনন্দ দেবে। সমাজের নানা অনিয়ম-অসংগতির উপরে তৈরি করা হয়েছে এবারের দলীয় সঙ্গীত। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে এসব সঙ্গীতে ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে বিভিন্ন তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণ থাকে। এবার এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকাই সিনেমার জুটি সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি। তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ক’জন অভিনয় শিল্পী এবং ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান ধারণই নয়-প্রায় দুই যুগ ধরে ইত্যাদিতে বিদেশি নাগরিকদের দিয়েও আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে বিদেশিদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের সংস্কৃতি। নাচ-গান ও গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তুখোড় অভিনয় সমৃদ্ধ এবারের পর্বের বিষয় কী? ঈদের পরদিন ইত্যাদির প্রচারের সময়ই জানতে পারবেন। প্রতিবারই ইত্যাদির দর্শক নির্বাচন প্রক্রিয়া থাকে ভিন্ন রকম। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ব্যতিক্রমী উপকরণের মাধ্যমে নির্বাচিত ৬ জন দর্শকের মুখোমুখি হয়েছেন অভিনয় তারকা অপূর্ব ও পূর্ণিমা। অভিনেতা-অভিনেত্রী না হয়েও নির্বাচিত দর্শকরা তাৎক্ষণিকভাবে অপূর্ব ও পূর্ণিমার সঙ্গে চমৎকার অভিনয় করেছে। ভাগ্নের গানের প্র্যাকটিসে বাঁধা দিলেন মামা কিন্তু কেনো? এবারের ঈদে আনন্দময় পরিবেশে নানী-নাতীর সময় যাচ্ছে ঝগড়ায়, নাকি হেসে হেসে? এসব জানা যাবে ইত্যাদি প্রচার হলে। বিদেশে বাংলাদেশি খাবারকে জনপ্রিয় করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রীস প্রবাসী জহির। বিদেশে ঈদের খাবার এবং গ্রীস প্রবাসী ক’জন কৃষিকর্মীর প্রবাসের ঈদের অনুভূতি নিয়ে রয়েছে একটি প্রতিবেদন। এছাড়া ঈদকে ঘিরে ডজনখানেক বিদ্রুপাত্বক রসালো নাট্যাংশ রয়েছে এবারের পর্বে। চ্যানেলের সরাসরি সংবাদে কিছু কড়া সংবাদ, ভয় নির্ভয়ের বিস্ময়, অন্তর্জালে অন্তর্দাহ, ভ্রান্ত উদভ্রান্ত এক চাকুরী প্রার্থীর অবিশ্রান্ত গান, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু, নেতাদের ভীতিজনক প্রচারনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরো কয়েকটি নাট্যাংশ রয়েছে। ইত্যাদির শিল্প নিদের্শনা করেছেন যথারীতি মুকিমূল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মামুন মোহাম্মদ। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ অনুষ্ঠানের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ঈদের ইত্যাদি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ