Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের কারণেই সয়াবিন তেলের সঙ্কট : রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২২, ১:৪৭ পিএম

দেশে সোয়াবীন তেলের সংকট সরকারের কারণেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

সোমবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করার পর রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে যদি কোনো জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো, একাউন্টেবেলিটি থাকতো তাহলে এমনটা(সোয়াবীনের তেল সংকট) হতো না। জবাবদিহি সরকার হলে তারা মার্কেট ইন্টারভেশন করতেন, সোয়াবীন তেলের যারা সিন্ডিকেট করছে, যারা কালোবাজারী করছে তাদেরকে গ্রেফাতার করতেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।”

‘‘ সাধারণ মানুষ, মধ্য আয়ের মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যেমন সোয়াবিন তেল, চাল, ডাল, আটা যেগুলো খুবই প্রয়োজনীয় বেঁচে থাকার জন্য দরকার সেইসব জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তো না।। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে উন্নয়নের নামে যে টাকা পাঁচার হচ্ছে, ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি। এই ভয়াবহ ‍মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমিকদের কোনো আয় বাড়েনি, তাদের আয় বাড়েনি।”

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেবৃদ্ধির প্রতিবাদে রমজান মাস জুড়ে বিএনপির নেয়া ধারাবাহিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন রিজভী।

সকাল ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রিজভী শেরে বাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।

ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘‘ ঈদের ঘরমুখী মানুষদের দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। অত্যন্ত কষ্টে তাদেরকে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। এমনিতেই তো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে অভিঘাত সেই অভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত এদেশের সাধারণ মানুষ।”

‘‘ তার উপরে ঈদে মানুষ কেনা-কাটা করে, সন্তান-সন্ততিসহ আত্বীয়-স্বজনদের নতুন জামা-কাপড় দেয় সেই জামা-কাপড় কেনা উপায় ছিলো নিম্ন-মধ্য আয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের।সবাই শ্রমিক এরা শ্রমজীবী মানুষ এদের প্রত্যেককে বাসায় কিভাবে ঈদ হচ্ছে আমরা জানি না। এরা তাদের সন্তান বা নিকট আত্বীয়দের ঈদ উপহার দিতে পেরেছেন এটা আমার জানা নেই।”

ঘরমুখী মানুষজন বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা ‘কষ্টে’ বাড়ি যেতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ