Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আগাম প্রচারণা

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ 

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম প্রচারণামূলক পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন, লিফলেটসহ সব প্রচার সামগ্রী নিজ উদ্যোগে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা চিঠি দিয়েছে কমিশন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির।
মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়। আগামী ২২ ডিসেম্বর এ সিটিতে ভোট হবে। গত সোমবার থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ দিন রয়েছে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকারে প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে এ সিটি নির্বাচন হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির উপ-সচিব মো: নুরুজ্জামান তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ৫ ডিসেম্বর প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। এর আগে যে কোনো ধরনের প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার সামগ্রী অপসারণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে সচেতনতা ও সহযোগিতা চেয়ে এ বিষয়ে মাইকিং করা হবে। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, কদম রসুল পৌরসভা ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন করে সরকার। প্রায় ৭৩ বর্গকিলোমিটারের এ সিটি করপোরেশনে এবার দ্বিতীয়বার সিটি নির্বাচন হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোটকে সামনে রেখে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীর ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড, লিফলেটসহ নানা ধরনের আগাম প্রচারসামগ্রী রয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের এসব সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরও এ ধরনের প্রচারসামগ্রী পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। এ এলাকায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ এবং নারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮। ২০১১ সালের চেয়ে ভোটার বেড়েছে প্রায় পৌনে এক লাখ। আচরণবিধি প্রতিপালনে সবার সহযোগিতা চান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক কর্মকর্তারা বলেন, শুক্রবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি তদারকির জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা টহলে থাকবে। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের লোকবল নিয়ে তা সরিয়ে নেয়া হবে। সেই সঙ্গে জড়িতদের কারণ দর্শানোসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপরও আগাম প্রচারণা চালিয়ে কেউ প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার পরই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আগাম প্রচারণা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ