Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাজী সেলিমকে খালাস আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচিত এমপি হাজী মো: সেলিমকে ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস প্রদান আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, ৩ বছরের সাজা থেকে হাজী মো: সেলিমকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছিলেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি।
গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর দণ্ডাদেশে বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে একই মামলায় তথ্য সম্পদের তথ্র গোপনের অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেয়া হয় তাকে। এ আদেশে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। ওই দিন রায় ঘোষণার পর অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
পরে বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়। একইসঙ্গে যেসব সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে এ সাজা দেয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিতে হবে। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
প্রসঙ্গত: ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ২টি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ