Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অশনির জোর কমছে

উপকূলে দমকা হাওয়া বর্ষণ : চট্টগ্রাম বহির্নোঙরে খালাস কাজ ব্যাহত

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র জোর কমতে শুরু করেছে। ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূল বরাবর আগের গতিমুখ বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে। তবে উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই গতকাল থেকে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে এই ঘূর্ণিঝড়। ‘অশনি’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং নিম্নচাপ আকারে আজ বুধবার দুর্বল আঘাত হানতে পারে। প্রবল অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ আগে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার থাকলেও তা এখন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

‘অশনি’র প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারী এমনকি অতি ভারী বর্ষণের আভাস দেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় বরিশাল বিভাগের খেপুপাড়ায় ২০৭ মিলিমিটার। সমুদ্র উত্তাল থাকায় বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া ও সমুদ্র প্রচণ্ড ঢেউয়ে উত্তাল থাকার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানি পণ্যসামগ্রী বিশেষত শিল্পের কাঁচামাল লাইটারিং, খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া দেশের দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় নদী-খালগুলো প্রবল জোয়ারে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। বিভিন্ন স্থানে নড়বড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মি.মি. বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

গতকাল দুপুরে ‘অশনি’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের অনেক স্থানে অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ