Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাপানি মায়ের কাছে থাকা সন্তানদের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না পিতা ইমরান শরিফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ৯:৩৮ পিএম

আদালতের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি মাফিক বাবা ইমরান শরিফের পুর্নাঙ্গ ভিজিটেশন বা সাক্ষাৎকারের কথা লেখা থাকা সত্ত্বেও জাপানি নাগরিক মা এরিকোনাকানো সন্তানদের সঙ্গে তাদের বাবাকে একেবারেই দেখা করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পিতা ইমরান শরিফ। বিগত ১২ এপ্রিল আদালত এই রায় দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিজ সন্তানদের সঙ্গে দেখা হয়নি বলে জানান তিনি।

গত বছর ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে হাইকোর্ট দুই সন্তানকে ইমরান শরীফের কাছে রাখার আদেশ প্রদান করেন এবং প্রতিবছর তিনবার এবং প্রতিবার দশদিন বাংলাদেশে এরিকোকে সন্তানদের সাথে একান্ত সময় কাটাতে দেয়া হবে। সন্তানদের মায়ের বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া আসা ও দশদিন থাকার খরচ ইত্যাদি শরীফ ইমরানকে বহনের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া অন্য খরচ জাপানি নারী নিজেই বহন করবেন মর্মে রায়ে বলা হয়। মাসে দুইবার সন্তানদের সাথে ভিডিও কলে মাকে কথা বলিয়ে দিতে হবে মর্মেও রায়ে বলা হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের খোলা আদালতের রায়ে বলা হয় যে, ঢাকার পারিবারিক আদালতে করা মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানরা মায়ের কাছে থাকবে, বাবার সন্তানদের সাথে দেখা করার অধিকার থাকবে এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া সন্তানরা বাংলাদেশ ত্যাগ করতে পারবে না।

এরিকোনাকানো এবং ইমরান শরিফ জাপানে তিন কন্যাসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তবে গত বছরের ২১ জানুয়ারি এরিকোনাকানো তার স্বামী ইমরানকে তৃতীয় লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। প্রথম নোটিশটা পাওয়ার পরে বড়মেয়ে জাসমিনকে (১২) ডেকে বাবা ইমরান ঘটনাটা খুলে বলেছিলেন যে, মা এরিকোওএরিকোর বাবা কাজুও এর মালিকানার নামের এই ফ্ল্যাটটির ব্যাংকের আকাশচুম্বী কিস্তি লোণের মাসিক ৪ (চার) লাখ টাকা বাবাকেই দিতে হয় এবং বাবা আর সেই মাসিক লোণ দিতে পারবেন না।

এই কিস্তি লোণ বাবার নামেও না। তবে এরিকো এবং কাজুও এর ব্যাংকের লোণের টাকা না দেয়ার জন্য, তারা বাবাকে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে। প্রথম নোটিশ পাওয়ার পরে বড় মেয়েকে তা বললে মেয়েটি খুব কেঁদেছিল। ইমরানের ভাষ্যমতে, বড় মেয়ের ভয় ছিলো যে, বাবার সঙ্গে যদি আর দেখা না হয়। মাসখানেক পর, তৃতীয় লিগ্যাল নোটিশটি বাবা মেয়েকে দেখালে বড়মেয়ের মন পুরোপুরি শক্ত হয়ে যায়। সে বদ্ধপরিকর হয় যে সে বাবার সঙ্গেই থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ