Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বরিশালে হাসপাতালের ‘শৌচাগারের প্যানে জন্ম দেয়া সন্তান কিভাবে বেঁচে আছে’ তার ব্যাখ্যা নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ৯:১৭ পিএম

বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের লেট্রিনের প্যানে বসে এক গর্ভবতী নারী গত ৭ মে শিশু সন্তানের জন্ম দেয়া এবং পাইপ ভেঙ্গেশি শুটিকে উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা হয়নি। এমনকি কিভাবে মা ও সন্তানের নাড়ি ছিঁড়েছে সেটিও তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। তবে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া মা ও নবজাতক পূর্ণ সুস্থ আছে’ বলে জানান তিনি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, ‘ওই শিশুর মা-বাবা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আবার নবজাতকের নাড়ি কিভাবে ছিঁড়ল সেই রহস্যেরও কোন সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। নাড়ি না কাটার পরেও সঠিকভাবে কিভাবে নাড়ি ছিঁড়ল তারও কোন উত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞানে পাওয়া যায়নি’। তদন্তের সময় দেখা গেছে, ‘জন্মের পর ৪৭মিনিটি শিশুটি পাইপের ভেতরে ছিল। তার ওজন ছিল ২ কেজি ৩শত গ্রাম। যা অপরিণত বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। শিশুটি পাইপের মধ্যে কোথাও আটকে যায়নি। নবজাতকের মায়ের মলত্যাগের বেগ অনুভূত হওয়ায় তিনি লেট্রিনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে, সন্তান প্রসব করেছেন তাও বুঝতে পারেননি। শুধুমাত্র মায়ের সাথে থাকা বৃদ্ধা সন্তান পড়ে যাবার দৃশ্য দেখে সকলের সহায়তা চান’ বলে জানান ডা. মুজিব।

এ বিষয়ে নবজাতকের পিতা নেয়ামতউল্লাহ বলেন, ‘আমার সন্তান বেঁচে আছে তাতেই আমি খুশী। আমি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে এখন বাড়ি যাচ্ছি’। নেয়ামত উল্লাহর ও তার স্ত্রী শিল্পী’র বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেসারবাদ উপজেলার গণমান শেখপাড়া বাজারের কাছে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ