Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী

কথিত শ্বেতপত্রের প্রতিবাদ অব্যাহত-------

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ৮:৩৭ পিএম

ইসলাম ও শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কথিত গণকমিশন শ্বেতপত্রের মাধ্যমে শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ইসলাম ও শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কিন্ত তারা জানে না, ওলামায়ে কেরামের সাথে সরাসরি মহান রব্বুল আলামিনের সম্পর্ক রয়েছে। ঐ গোষ্ঠী চাইলেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবে না।
আজ বিকেলে রাজবাড়ী জেলার পাংশা আজিজপুর রশিদীয়া মাদরাসার বার্ষিক সবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। এ সময় এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, যতদিন ইলমে নববীর এ শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু থাকবে, ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না। যতদিন ওলামায়ে কেরাম ও ওয়াজ নসিহত আছে, ততদিন পৃথিবীজুড়ে হেদায়েতের হাওয়া চালু থাকবে, হেদায়েত চালু না থাকলে দুনিয়া পাপাচারে ভরে যাবে। আর তখই ধ্বংস অনিবার্য।
তিনি বলেন, ঘাদানিকদের দোসরদের কথিত শ্বেতপত্রে প্রধানত লক্ষ বানানো হয়েছে জনসম্পৃক্ত ওলামাদেরকে। যারা দেশব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। ওয়াজ হলো, জনসাধারণের চরিত্র ও ধারণ ক্ষমতা অনুসারে ইসলামের নির্দেশনা এবং পরকালের শাস্তি ও প্রাপ্তি নিয়ে এক ধরনের আলোচনা। ওয়াজ বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এদেশে ইসলাম এসেছে সুফি, দরবেশ ও পীর মাশায়েখদের মাধ্যমে। তারা প্রেম ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। সেই তখন থেকেই বাংলার গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে, পাড়া মহল্লায় প্রতি বছর অন্তত একবার সম্মিলিতভাবে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। বাংলার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি এটা। এটা বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য। আজকে যারা এই ওয়াজের বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র নাটক করছে, তারা আদতে মুসলিম বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তি।
নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, জাতির সূর্য সন্তান ওলামায়ে কেরামদের ধর্মব্যবসায়ী বলে নাস্তিক মুরতাদ গোষ্ঠী ওলামাদের অসম্মান করতে চায়। দেশবিরোধী ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরাম এদেশে ভেসে আসে নাই। ওলামাদের সাথে সম্পর্ক মাটি ও মানুষের। কাজেই সস্তা তালিকা করে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অপমান অপদস্ত সহ্য করা হবে না। দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা প্রয়োজনে জবীন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটি ঃ বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি মুজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ঘাদানিকরা বাঙালি মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এদেশে ইসলামের জাগরণকে ওরা সহ্য করতে পারছে না। তিনি বলেন, যাদের চরিত্রের ঠিক নেই, যারা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িতের কারণে বহিস্কৃত হয়েছে, তারা ওলামাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। তিনি ঐ সকল কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের জাগ্রত উলামা মাশায়েখগণ যখনই স্বাধিনতা র্সাবভৌমত্বের সুরক্ষা ধর্মীয়মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে মাঠে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখনই বাম পন্থী ইসলাম বিদ্বেষী এ সংগঠনটি তাঁদের মধ্যে জঙ্গিবাদের গন্ধ খুঁজে বেড়ায়। এদের মূল উদ্দেশ্য ধর্ম চর্চার বাক স্বাধিনতাকে স্তব্ধ করে দেশকে র্ধমহীণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেশকে অস্তিতিশীল করে তোলা । এসব কুলাঙ্গারদের প্রতিরোধ করা ঈমানী দায়িত্ব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ ঃ ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মো. নাজমুল হক আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্রে কওমি শক্ষিা ব্যবস্থা , মাদরাসা ও আলোম ওলামাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগের বিষয়ে আমাদের করণীয় শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের চেয়ারম্যান ও তেজগাও রহিম মেটাল মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান মমতাজীর সভাপতিত্বে এতে দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। তিনি এ আলোচনা সভা সফল করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ