বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় ট্রেনের টিকিট কলোবাজারীর সাথে ৫ জন কর্মকর্তাসহ আরও ৪/৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ খুলনার রেলের স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার। এ ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানায় একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৬ মে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সেখানে তিনি রেলের ৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারীর সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নামে টিকিট নিয়ে কালাবাজারে বিক্রি করেন। অভিযোগের বিষয়টি আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার তার সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) উল্লেখ করেছেন, খুলনা আইডব্লিউ অফিস স্টাফ, দুইজন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ ৫ জন কর্মকর্তা এবং আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সরাসরি টিকিট কালোবাজারীর সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে ভুয়া চাহিদা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। টিকিট না পেলে বহিরাগত লোকদের ডেকে এনে সংঘবদ্ধ হয়ে মাস্টারকে হেনস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাদের টিকিটের চাহিদা এতোটা বেড়েছে যে টিকিট না পেলে স্টেশন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধর করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। প্রকৃত পক্ষে রেলের কোন ভিআইপি টিকিট সংরক্ষিত নেই। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ কাজে লিপ্ত। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং স্টেশনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই জিডি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।