Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সয়াবিন তেল মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর

সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১২:০৬ এএম

সয়াবিন তেল মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, দেশে এখন রাইস ব্র্যান ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন উৎপাদন হয়। এটিকে ৭ লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটি করতে পারলে তেলের মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে।

তা ছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্র্যান ভালো। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রাইস ব্র্যান ও শর্ষে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে গম আমদানির ৬৪ শতাংশ আসে ভারত থেকে। দেশটি গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা বাংলাদেশের জন্য পুরোপুরি প্রযোজ্য হবে না। তা ছাড়া এ মুহূর্ত দেশে গমের যে মজুত, তাতে ভয়ের কিছু নেই।
সয়াবিন তেলের দাম প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ছে।

নিত্যপণ্যের দাম কবে নাগাদ মানুষের নাগালে আসবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এটির উত্তর জানতে হলে আমাকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারব না। কলকাতায় খবর নিন, সেখানে কত দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। মানুষকে বৈশ্বিক অবস্থা জানাতে হবে।

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দুই আড়াই বছর আমদানি বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক হওয়ায় প্রচুর ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ওপর চাপ পড়েছে। যার ফলে দুই বছরের চাপ একবারে পড়েছে, সেই প্রভাব পড়েছে। জ্বালানিতে তেলের দাম বেড়েছে, সেটার প্রভাব পড়েছে। সবকিছু মিলে প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি দামও বেড়েছে।

বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর আমদানি-রপ্তানি কম ছিল। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। এখন যখন চাপ পড়েছে তখন রিজার্ভ কমে ৪০ বা ৪১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটা বেড়েছিলো সেটা বিশেষ কারণে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা রয়েছে, কোনো কিছুকে বেশি করে দেখানো হয়। এখন মনে হচ্ছে রিজার্ভ শেষ হয়ে গেলো। যেমন পাশের শ্রীলঙ্কায় বিপদ তাই বলে কি আমাদের দেশেও বিপদ? এটা হতে পারে না।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ অনেক শক্তিশালী দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনে সাহায্য দিয়েছি। কোনো না কোনো কারণে কেউ না কেউ কোনো একটা সুযোগ পেলেই আমাদের ডিফেন্স করতে হয়। আমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কিছু নেই। ক্রাইসিস বৈশ্বিক, এটা মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। পরিস্থিতি এমন থাকবে না, আমরা পার হয়ে যাবো। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ