ইউক্রেনে অস্ত্রের প্রবাহ সমন্বয় করছে মার্কিন কমান্ডো নেটওয়ার্ক

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান সৈন্যদের অগ্রাভিযানের মুখে, আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য দেশটির ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং
ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রত্যাখ্যান করা তেল এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে পাঠাবে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এই ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ইউরোপকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তেলের বিকল্প সরবরাহ খুঁজে বের করতে হবে ইউরোপকে; যা আরও ব্যয়বহুল হতে পারে।
বুধবার ইউরোপের দেশগুলোর কার্যনির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ান জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার অবসান এবং সবুজ শক্তির দিকে দ্রুত স্থানান্তরে ২১০ বিলিয়ন ইউরোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউরোপ প্রতিদিন প্রায় ৪ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল পায়। কিন্তু ইউরোপ রাশিয়ার তেল নিতে রাজি না হওয়ায় মস্কো এখন ইউরোপ ছেড়ে সেই সরবরাহ পুনরায় অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
ইউরোপ থেকে প্রত্যাখ্যাত তেলের পাশাপাশি রাশিয়ান অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া ব্যয়বহুল অপরিশোধিত তেলও এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর দায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার ফলে বেশ কিছু তেল ক্রেতা রাশিয়ান কার্গো বিলম্বিত অথবা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হন। ক্রেতাদের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার তেল উৎপাদনে ভয়াবহ আঘাত হানে।
নোভাক বলেছেন, এপ্রিল মাসে রাশিয়ার তেল উৎপাদন দিনে প্রায় ১ মিলিয়ন ব্যারেলেরও কম ছিল। কিন্তু মে মাসে তেলের উৎপাদন বেড়ে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ ব্যারেলে পৌঁছায়। আগামী মাসে তেল উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার তেল রপ্তানি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং নতুন রপ্তানি বাজার খুঁজে পাওয়া যাবে। কারণ রাশিয়ার জ্বালানি সম্পদ অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।