বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টিকিট কালোবাজারির সরাসরি অভিযোগ এনে রেলের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা খুলনার স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো কজ) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে দাফতরিক বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, যে ৫ জনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ এনেছিলেন, আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে পশ্চিম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশী) মো. শাহেদুল ইসলাম এর নির্দেশে বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।
পশ্চিম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশী) মো. শাহেদুল ইসলাম জানান, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন যেটা সঠিক করেননি। সে কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা আমরা তদন্ত করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভিন্ন স্টেশনে বদলির নির্দেশ দিয়েছি। কারণ দর্শানোর সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, গত ১৬ মে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার খুলনার ৫ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুলনার রেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন রেলওয়ের টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের মো. জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেনে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন এবং তারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভূয়া নাম ব্যবহার করে টিকিটের চাহিদা প্রদান করে টিকিট গ্রহণ করেন। টিকিট না পেলে তারা বহিরাগতদের দিয়ে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন এবং স্টেশন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের নীলনকশা করছে।
এদিকে যাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে তারা দাবি করেছেন, টিকিট কালোবাজারির সাথে তারা জড়িত নন। অনিয়ম দূর্ণীতির সাথে স্টেশন মাষ্টারই জড়িত রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।