Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মীরসরাইয়ে সড়ক নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের ব্যাপক অনিয়ম

মীরসরাই(চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২২, ১১:৩৬ এএম

. সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিত্যক্ত বিটুমিন মিশ্রিত পাথর
. খানাখন্দ ভরাট করে সংস্কার করার কথা থাকলেও খানাখন্দ রেখে শেষ করা হচ্ছে সংস্কার কাজ
. স্থানীয়দের অভিযোগ সংস্কার কাজ শেষ করার আগেই উঠে যাচ্ছে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর
. নির্বাহী প্রকৌশলী বলছে এটা লিপস্টিক ওয়ার্ক

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (আরএইচডি) অর্থায়নে মীরসরাই উপজেলায় কলেজ রোড সংলগ্ন (মীরসরাই ফটিকছড়ি সড়ক) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পূর্বে পাশে মীরসরাই ফটিকছড়ি সড়কের ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার হযরত শাহ জালাল ব্রিক ম্যানুফেকচার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ২০২১-২২ অর্থ বছরে সড়ক সংস্কার কাজের অনুকুলে ৪৪ লাক্ষ ৯৯ হাজার ২০টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। মীরসরাই বিশ^রোড থেকে ফটিকছড়ি পর্যন্ত ১২কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হযরত শাহ জালাল ব্রিক ম্যানুফেকচার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি আঁকা-বাকা সড়কটি খানাখন্দ গুলো পরিপূর্ণ ভাবে সংস্কার করার কথা থাকলেও খানাখন্দ রেখেই সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সড়ক সংস্কার কাজে নি¤œমানের পাথর (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিত্যক্ত বিটুমিন মিশ্রিত পাথর) নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্প গুলোতে নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙ্গে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্ধে অবমুল্যায়নের ফলে দূভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় সুলতানা বাপ নামে পরিচিত এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিশ^রোড থেকে উপড়ে ফেলা পাথর গুলো দিয়ে এই রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তাটি কিছুদিনের মধ্যে আগের মতো খানাখন্দন হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মহসিন মিয়া বলেন, আমরা আমাদের কাজ যথাযথ ভাবে করতেছি। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা আমাকে ফোন দিয়ে উনারা বলেন কাজের মান নিয়ে স্থানীয় ও সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন কাজটি সঠিক ভাবেকরার জন্য তাগিদ দেন।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আমারা প্রত্যকটা জায়গা টেষ্ট করে মেটেরিয়াল পালাই, পাবলিক কিভাবে খারাপ বলছে তা আমি জানি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রেরে পাবলিক এসব কাজ গুলোতে অসন্তুষ্ট থাকে, তারাতো হাইওয়ে সড়কের বড় কাজের সাথে তুলনা করে। আসলে এটি লিপস্টিক ওয়ার্ক আমরা বলে থাকি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ