লিসিচানস্ক শহরের পতন, অবশেষে মুক্ত হলো সমগ্র লুহানস্ক

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলপিআর) এর মুক্তির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে
বাঁধন যত শক্ত হচ্ছে, ততই তা কেটে বেরোনোর প্রবণতাও বাড়ছে আফগানিস্তানে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে। তালেবান শাসকেরা নির্দেশ দিয়েছিলেন, মুখ ঢেকে খবর পড়তে হবে। সেই নির্দেশ অমান্য করে, মুখ না ঢেকেই খবর পড়ছেন দেশের একাধিক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মহিলা সঞ্চালকেরা।
এর আগে মাথায় ওড়না দিয়ে খবর পড়তেন তারা। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের উপর। চলতি মাসের গোড়ার দিকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনন্দজাদা নির্দেশ দেন, জনসমক্ষে মেয়েদের মুখ বোরখা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। শনিবার থেকে টিভি চ্যানেলের সঞ্চালকদেরও এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু দেশের একাধিক টিভি চ্যানেলের সঞ্চালকেরা মুখ না ঢেকেই খবর পড়েন। তবে তারা মূলত কাজ হারানোর ভয়েই এমনটা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি খবরের চ্যানেলের প্রধান আবিদ এহসাস বলেন, ‘‘আমাদের মহিলা সহকর্মীরা ভয় পাচ্ছেন, তারা যদি মুখ ঢেকে খবর পড়েন, তাদের আশঙ্কা, পরের দিন হয়তো খবর পড়তে দেওয়া হবে না। মূলত সেই কারণে তারা নির্দেশ না মেনে খবর পড়ছেন।’’
টিভি চ্যানেলের কর্তারাও এই নির্দেশ নিয়ে আরও আলোচনার জন্য তালেবান সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা সঞ্চালক বলেন, ‘‘তাদের (তালেবান সরকারের) সর্বশেষ নির্দেশ উপস্থাপিকাদের মন ভেঙে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এ দেশে তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।’’ এই সঞ্চালিকা নিজেও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।