Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ এলাকায় চলছে মহাকর্মযজ্ঞ

ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২২, ৩:৪১ পিএম

যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মানকে কেন্দ্র করে প্রকল্প এলাকায় চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। বেশ গতিতে এগিয়ে চলেছে পাইলিংসহ সেতু নির্মান সংশ্লিষ্ট নানা কাজ। গত ১৩ মার্চ যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে পাইল বসানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে চলেছে প্রকল্পের কাজ। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে সেতুপূর্ব-উত্তর পাশের গাইড বাঁধের কাছ থেকে পাইল বসানোর কাজ চলছে। ভারি ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। হ্যামারের শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো প্রকল্প এলাকা। বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় দিনরাত চলছে প্রকল্পের অফিস ও আবাসন নির্মান কাজ। চলছে হার্বার সংস্কার ও জেটির কাজও । প্রকল্পে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েক হাজার কর্মকর্তা- কর্মচারী কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৪.৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল সেতু নির্মান। উভয় প্রান্তে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাস্ট, প্রায় ৭.৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে এপ্রোস এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মান। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে থাকবে নতুন স্টেশন ভবন, ইয়ার্ড রিমডেলিং,রেলওয়ে সেতু মিউজিয়াম। এছাড়া হবে কিছু নদী শাসন সংস্কার কাজ। ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজের এই রেল সেতু হবে দেশের বৃহত্তম ডেডিগেটেড রেল সেতু। সেতুটিতে ৫০টি পিয়ার ও ৩৭ টি স্প্যান থাকবে। এ ৩৭ স্প্যানের মধ্যে ৩৬ টি নির্মান করা হবে ভিয়েতনাম ও মায়ানমারে। বাকি ১ টি নির্মান করা হবে দেশে। সেতুটি জাপানি প্রযুক্তিতে, এন্টিওয়েদারিং স্টিল দিয়ে তৈরি হবে। যাতে কখনোই রং করতে না হয়। এতে সেতু ররক্ষনা বেক্ষণ খরচও তেমন লাগবে না। নতুন এ সেতুর উপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ লাইনে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে রেল চলতে পারবে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু দিয়ে যেখানে ৩৮ টি রেল চলাচল করতে পারে সেখানে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মান কাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৮৮ টি রেল চলাচল করতে পারবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। বর্তমানে পাইলিংয়ের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ৪৩১ একর ভূমি বাংলাদেশ রেলওয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেতুর অনুমোদিত নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। বর্তমানে নির্মান ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাপানি আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাইকা) ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করবে। বাকি টাকা দিবে বাংলাদেশ সরকার। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ