Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মার নাব্য সংকটে লঞ্চঘাট বন্ধের উপক্রম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৯ পিএম

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর মৈনট লঞ্চ ঘাটটি শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নাব্যতা হারিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা সদরে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট পাড় এলাকার প্রায় অর্ধ কি.মি. জলাশয় বালুমাটি পড়ে ডুবোচরে রূপ নিয়েছে। আর পদ্মা নদীর অপর পার মৈনট ঘাটের জলমহলটি সচল রয়েছে। কিন্তু উপজেলা সদরে গোপালপু ঘাটের পার এলাকা দ্রুত খনন কার্য না করলে বন্ধ হয়ে যাবে ১৪২৩ সালের ইজারাকৃত ৩ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যমানের ঘাটটি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে প্রতিদিন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রীরা। অবশ্য, গোপালপুর মৈনট ঘাটের ইজাদার নূরুল ইসলাম পাটনী ড্রেজিং কার্যক্রম করার অনুমতি চেয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করার পর আবেদনটি তদন্তধীন রেখে কাল বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা  গেছে। গোপালপুর মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, এ নৌরুট দিয়ে আশপাশের নগরকান্দা, সদরপুর ও ভাঙাসহ অত্র উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। এ নৌরুটে মাত্র ২০ মিনিটে স্পীড বোটে উপজেলা পদ্মা নদী পাড় হয়ে অপর পাড়ের দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাসস্টান্ড থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছতে পারেন যাত্রীরা। তাই অত্র অঞ্চলের ঢাকাগামী যাত্রীরা বেশিরভাগ গোপালপুর মৈনট ঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পাড় হয়ে থাকেন। এ রুটে যাত্রীদের পদ্মা পারাপারে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৬০ খানা ট্রলার ও ৪০ খানা স্পীড বোট চলাচল করে থাকে বলে জানা যায়। প্রতিটি ট্রলার ২০ মিনিট অন্তর পদ্মা নদীর দু’টি ঘাট ধেতে ছাড়া হয়। আর স্পীড বোটে মাত্র ১০ জন যাত্রী পূরণ হলেই অবিরাম পদ্মা পারাপার চলতে থাকে। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমে গোপালপুর ঘাটের পাড় এলাকায় বালুমাটির চর পড়ে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে পদ্মা পারাপারে প্রতিটি ট্রলার ও স্পীড বোট দফায় দফায় ঠেকে যাচ্ছে সামান্য পানির চরে। এতে ভোগান্তি ও চরম ঝুঁকির মধ্যে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার পদ্মা পার হয়ে আসা অনেক যাত্রীর মধ্যে শারমিন আক্তার (২৮) নামক এক যাত্রী জানান, “পদ্মা পারের কালে চলন্ত স্পীড বোট দুই দফায় বালুচরে ঠেকে যাত্রীরা থুবরে পড়েছিল, ভাগ্যিস শিশুরা সাথে ছিল না, নাহলে আরো বিপদ হতে পারতো। তিনি ঘাটটি দ্রুত খনন করে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাবি তোলেন”। ছাত্তার কাজী (৪৫) নামক আরেক যাত্রী বলেন, “সর্বোচ্চ পনের দিনের মধ্যে ঘাটটি ড্রেজিং করা না হলে আগামী আষাঢ় মাস পর্যন্ত প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদের বালুচর হেটে ট্রলার ও স্পীড বোটে উঠতে হবে। আর এ দুর্ভোগের কথা স্মরণ করে অনেকেই এ রুট দিয়ে ঢাকায় যাবেন না বলেও তিনি জানান”। এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, “গোপালপুর-মৈনট ঘাটটি আন্তঃজেলা ঘাট হওয়ায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাই দাপ্তরিক নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ