Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিআরটিএ’র সার্ভার ডাউনে গ্রাহকদের ভোগান্তি!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ৫:৪১ পিএম

গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন অনলাইন সেবা চালু করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে অনলাইনে বিভিন্ন ফি জমা দিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রহকরা। এছাড়াও বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটেও সঠিক সত্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। এমনকি কার্যাকলগুলোতে তাদের নির্ধরিত বুথে টাকা জমা দিতে গেলও কর্তপক্ষ বলছে সার্ভস ডাউন হয়ে গেছে। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা গেছে, যানবাহনের লাইসেন্স, গাড়ির নম্বরপ্লেট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য সেবার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি নির্দিষ্ট অনলাইনে জমা দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত ফি জমা দিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজারো গ্রাহক।
এছাড়াও বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, যে কোন ফি পেমেন্ট করার জন্য আবেদনকারীকে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে এ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক। যাদের এ্যাকাউন্ট নেই তারা https:ww/w.ipaybrta.cnsbd.com/index/login এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ্যাকাউন্ট করে নিতে পারবেন। এ্যাকাউন্ট তৈরির পর বিভিন্ন সেবার জন্য অনলাইনে আবেদন এবং ফি পেমেন্ট করা যাবে। আবেদনের জন্য প্রথমে নিচের যে কোন লিঙ্কে গিয়ে ইমেইল/মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে। কিন্তু এই সার্ভিসটি চালু থাকলেও গ্রাহকরা দৃশ্যমান কোনো সেবা পাচ্ছে না।
মুসা নামের এক গ্রাহক ইনকিলাবকে বলেন, গাড়ির অগ্রিম কর প্রদানের জন্য উত্তরা দিয়াবাড়ি শাখায় আজ সকাল সাড়ে ১১টায় যাই। কিন্তু সাড়ে ১২টার দিকে থেকে সার্ভারে সমস্যা রয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে বিকাল ৪টায় দিকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে গ্রাহকদের আগামীকাল ফের আসতে বলা হয়। সারাদিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রাহকরা বাড়ি ফিরে যান।
তবে সূত্র জানায়, করোনা পরবর্তী সময়ে বিআরটিএর কাজের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন শত শত গাড়ি ফিটনেস হালনাগাদ এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য আনা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ গ্রাহক। আর ওইসব চক্রের সাথে জড়িত রয়েছেন বিআরটিএ’র কর্মকর্তারাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক জানান, দালাল ছাড়া কোনো কাজ করা যায় না। ফাইলের মধ্যে একটি বিশেষ মার্ক থাকে। যা দেখলে বিআরটিএ কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন ফাইলটি কোন দালালের!
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরে বসে অনলাইনে টাকা জমা না দিতে পেরে অনেকেই কার্যালয়ে এসেছেন। সেখানে এনআরবি ব্যাংকের কয়েকটি বুথ রয়েছে। ওই বুথগুলোতে টাকা জমা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দালাল ছাড়া টাকা জমা দিতে গেলেও ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
সেবা নিতে আসা আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি জানান, বিআরটিএতে এখন পর্যন্ত চারবার এসেছি। একবারও কাঙ্খিত সেবা পাইনি।
তবে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ইনকিলাবকে বলেন, বিআরটিএ’র একটি আইটি শাখা আছে। তবে সেই শাখার দক্ষ জনবল নেই। তাই আউট সোসিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনের কাজগুলো করানো হয়। অনলাইনের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। এছাড়াও টেকনিক্যাল আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে ওই সমস্যা বেশি সময় থাকে না। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সমস্যাগুলো সমাধান করে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।



 

Show all comments
  • Rasel Mahmud ২৪ মে, ২০২২, ৭:৫৮ পিএম says : 0
    বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় বিআরটিএতে
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel Mahmud ২৪ মে, ২০২২, ৭:৫৮ পিএম says : 0
    টাকা ছাড়া এখানে কোনো লাইসেন্স হয় না
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel Mahmud ২৪ মে, ২০২২, ৮:০০ পিএম says : 0
    আমি নিজেও ভুক্তভোগী, টাকা দিলে লাইসেন্স, না দিলে তারা কথায় বলে না। যেমন এটা তাদের বাপ দাদার প্রতিষ্ঠান। অথচ এ নিয়ে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথা নেই
    Total Reply(0) Reply
  • আলিফ ২৪ মে, ২০২২, ৮:০৫ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে সব বাটপার চিটার বিআরটিএতে বসে আছে, তাদের কারণেই সরকারের বদনাম হচ্ছে। অথচ সরকার সারা দেশে অনেক উন্নয়ন করছে। আমার মনে হয় না এখানে কোনো ভালো লোক আছে। তাদের কারণে অনেক লোক লাইসেন্স নিতে যায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rasel Reza ২৪ মে, ২০২২, ৬:১৭ পিএম says : 0
    আজ পাচ বছর লাসেন্সের জন্য ঘুরছি এক বছর হলো ফিংগার দিছি আজও পর্জন্ত লাইসেন্স পাইলামনা।কেউ বলতে পারেন আর কতোদিন ঘুরতে হবে(খুলনা বি আর টি এ)
    Total Reply(0) Reply
  • Md Samsher Hossain ২৪ মে, ২০২২, ৬:১৮ পিএম says : 0
    লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছি ২০১৯ সালে বতর্মান একমাত্র আল্লাহ জানে নতুন নবায়নের মেয়াদ কি বি আর টি এ তে শেষ হবে কি না। BRTA এর পরিচালক বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে তাহা শুনে ছিলাম আরো দের বছর আগে,যানিনা ৬ মাস হতে কত মাস লাগে।
    Total Reply(0) Reply
  • Samidul Haque ২৪ মে, ২০২২, ৬:১৮ পিএম says : 0
    Blind BRTA of Bangladesh....!!! BRTA is paralyzed..!!! It's known to all except......! We don't know why there is no action by the Govt. Of Bangladesh in spite of too many corruption committed by the BRTA officials....! We want justice...!
    Total Reply(0) Reply
  • এলমুন নূর খান ২৪ মে, ২০২২, ৬:১৯ পিএম says : 0
    এই রিপোর্টটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সচক্ষে দেখা উচিত অসহ্য হয়ে গেছি চারদিকে এতএত ভণ্ডামি দেখতে দেখতে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sowrove Ahmmed ২৪ মে, ২০২২, ৬:১৯ পিএম says : 0
    বিআরটিএ র সিমাহিন দুরনিতির কারনে আজ এই দশা! অবিলম্বে এই দুরদশা থেকে মুক্তি চাই!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Al Amin ২৪ মে, ২০২২, ৬:২২ পিএম says : 0
    যোগাযোগমন্ত্রী শুধু মুখে মুখে বড় বড় কথা বলেন কিন্তু বিআরটিএ আজ পর্যন্ত সোজা করতে পারলেন না কেন ওখানে এত দুর্নীতি হচ্ছে সরকারি চাকরির অফিসার অনেক বড় হয়ে গেছে যেখানে সাধারন মানুষ তাদের কাছে জিম্মি মানুষ টাকা দিয়ে কেন এত ভোগান্তির শিকার হবে ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে জানতে চাই
    Total Reply(0) Reply
  • মৌরি দাস ২৪ মে, ২০২২, ৬:৩০ পিএম says : 0
    মামা ভাতিজা শালা দুলাভাই আর ভাই বেরাদার রা মিলে বিআরটিএকে পুরা চুরি বাটপারি আর দালালের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আসলে এমন একটি ইম্পর্টেন্ট অফিস কি করে এতটা দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তা বোঝা হয়তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমার মনে হয় বিআরটিএর চেয়ার ও ঘুষ খায়, আর এর শেয়ার ঘানার প্রধানমন্ত্রী পান।
    Total Reply(0) Reply
  • নন্দিতা কর্মকার ঋতু ২৪ মে, ২০২২, ৬:৩৫ পিএম says : 0
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের সুবাদে আমার ঘোরাঘুরি করা হয়েছে কিন্তু কোথাও কোনো সরকারি অফিসে এতটা দুর্নীতি এত ওপেন ভাবে দেখি নাই। শুনেছি ওই জায়গার কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের পাত্তা দেন না। হয়তো আরো বড় কারো সাথে তাদের কানেকশন আছে! তাদের গাড়ির ফিটনেস নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিন শত শত আনফিট গাড়ি মানুষকে দুর্ঘটনার কবলে ফেলছে। আর রাস্তায় নতুন প্রাইভেটকার নিয়ে নামুন সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও জোর করে মামলা ধরিয়ে দেবে পুলিশ! এগুলো সব মিলে একটা কুট চক্রের ভয়ঙ্কর কেচকি কলে দেশ আজ মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায়!
    Total Reply(0) Reply
  • মেহের আলী ২৪ মে, ২০২২, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইন সেবার এই বেহাল দশা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গ্রাহকদের ভোগান্তি দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহিনী চক্রবর্তী ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪২ পিএম says : 0
    বিআরটিএ এই সংস্থার কর্মকর্তাদের যদি আগামী 100 বছর জেল খাটানো হয় তারপরও তাদের দুর্নীতির কারণে সরাসরি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না। তাদের দেয়া পরীক্ষা বিহীন লাইসেন্স আর ফিটনেসবিহীন গাড়ি সনদ যে কত জীবন এ দুনিয়া থেকে নাশ করেছে তার হিসাব নাই। পয়সার কারণে তারা নিজের ডটডটডট কেও বিক্রি করে দিতে পারে! একেকজন শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে পিয়ন থেকে শুরু করে টপ ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত। দুদক এদের কাউকে চোখে দেখেনা বসে বসে তলপেটের নিচের চুল ছেড়ে! আসলে সত্যি কথা বলতে কি সবাই যার যার ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত ভাবে মনে হয় দেশতো শুধু জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকায় চলে না, কারো কারো বাবার সম্পত্তি এই দেশের জায়গীরদারী জমিদারি অনেকটা এমনই।
    Total Reply(0) Reply
  • শিহাব উদ্দিন চৌধুরী ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৮ পিএম says : 0
    মাছের মাথায় যখন পচন ধরে তখন শরীরে আর বেশিক্ষণ টিকে না! আরে ভাই বিআরটিএ কেন সরকারি সব অফিসেই মাথার দিকে পচন ধরে গেছে। ক্ষমতার দাপট না থাকলে বিআরটিএ-তে কোন লোকের পক্ষে একদিন নিয়ে কাজ ছাড়া সম্ভব হয়না, আর না হলে থাকতে হবে কাড়িকাড়ি টাকা তাহলে আপনাকে বাবা ডেকে কাজ করে দেবে। কুকুর হাড্ডির পেলে খুশি হয় তাই আমি যখন বিআরটিএ-তে যাই তখন পকেটএ কিছু হার অর্থাৎ ঘুষের টাকা নিয়ে যাই এবং চুচু করে ডেকে ওদেরকে খাইয়ে দেই। আমার কাজগুলো দ্রুত হয়ে যায় আর কুকুরগুলো লেজ নেড়ে নেড়ে আমাকে সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় দেয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিআরটিএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ