বিশ্ব মূল্যস্ফীতির বোঝা জনগণের কাঁধে চাপাইনি : ইমরান খান
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারপারসন ইমরান খান বলেছেন যে, পিটিআই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কঠোর শর্ত, দুর্বল অর্থনীতি এবং কোভিড-১৯ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির বোঝা জনগণের কাছে
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। গত এপ্রিলে আট বছরের রেকর্ড ভেঙে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ৭.৭৯ শতাংশে। এমতাবস্থায় অবসর পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ভারতের বয়স্ক নাগরিকরা। কম খেয়ে অবসরকালের জন্য সঞ্চয়ে নামছেন দেশটির নাগরিকরা।
টি. এল. ওয়ালি। ৬৬ বছর বয়সী ওয়ালি পেশায় দিল্লির হাইকোর্টের আইনজীবী। অবসরের অপেক্ষায় থাকা এই ভারতীয় জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে করছেন অতিরিক্ত কাজ। যথাসম্ভব ব্যয় কমিয়ে অবসর পরবর্তী দিনের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয়ে বাধ্য হচ্ছেন।
পোস্টাল ব্যাংকে অবসরকালীন সঞ্চয়ের টাকা জমাদানের সময় ওয়ালি বলেন, ‘‘আমি অবসর জীবনের কথাও ভাবতে পারি না।’’ তিনি জানান, ব্যয় কমাতে বাইরে খাওয়া এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করেছেন”। খবর রয়টার্সের।
এদিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় পেনশন প্রতি মাসে মাত্র ২০০ ভারতীয় রুপি। যদিও রাজ্যভেদে তা ১ হাজার থেকে ২ হাজার রুপি পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে এ অর্থ খুবই নগণ্য।
কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় শহরের গীতা সেন নামক এক বিধবা জানান, তিনি তার ১ হাজার রুপি মাসিক পেনশনে দিনে দুবেলা খাবারও দিতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘প্রায়শই আমাকে খাবারের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ধার করতে হয় বা ভিক্ষা করতে হয়।’’
উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ধুঁকছে ভারতের দাতব্য সংস্থা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোও। দিল্লিভিত্তিক দাতব্য সংস্থা শিওস’র পরিচালক সৌরভ ভগত জানান, মাসিক খরচ সম্প্রতি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যক্তিগত অনুদানে পরিচালিত এসব সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য এমনকি ওষুধ কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।