Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আয়ারল্যান্ডে এই প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ১০:৫৩ পিএম

বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এবার আয়ারল্যান্ডে শনাক্ত হয়েছে। শনিবার আয়াল্যান্ডের স্বাস্থ্য সংস্থা দেশটিতে একজনের শরীরে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাস শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে আয়ারল্যান্ডের হেলথ সার্ভিস এক্সিকিউটিভ (এইচএসসি) বলেছে, পৃথক ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। -বিবিসি, রয়টার্স

বর্তমানে তার ভাইরাস পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস স্থানীয় কোনও রোগ হিসেবে ছিল না, এমন প্রায় ২০টি দেশে এই ভাইরাল রোগের প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাধিক ছাড়িয়েছে; যার মধ্যে শুধুমাত্র ২০০ জনের বেশি ইউরোপের। এইচএসসি বলেছে, আয়ারল্যান্ডে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এখনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় অনেক দেশে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতির পর আয়ারল্যান্ডে এই ভাইরাসের সংক্রমণ অপ্রত্যাশিত নয়।

মাঙ্কিপক্স কী?

মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় মাঙ্কিপক্স। সাধারণত হালকা ভাইরাল সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো একই প্রজাতির সদস্য। এই প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভেরিওলা ভাইরাস; যা গুটিবসন্তের কারণ, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস (গুটিবসন্ত ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত) ও কাউপক্স ভাইরাস।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হতে পারেন কীভাবে

ভাইরাসটি মানবদেহে বেশ কয়েকটি উপায়ে প্রবেশ করতে পারে।

• ভগ্ন ত্বক (যদিও তা দেখা যায় না)
• শ্বাসতন্ত্র অথবা চোখ, নাক ও মুখ
• সংক্রমিত প্রাণীর কামড়
• আক্রান্ত প্রাণী অথবা মানুষের রক্ত, শরীরের তরল বা পশম স্পর্শ করা
• সংক্রমিত প্রাণীর মাংস সঠিকভাবে রান্না ছাড়া খাওয়া হলে
• ফুসকুড়ি রয়েছে এমন কারো ব্যবহৃত পোশাক, বিছানা অথবা তোয়ালে স্পর্শ করা
• মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কারও ত্বকের ফোস্কা অথবা খোসপাঁচড়া স্পর্শ করা অথবা সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি ও হাঁচির খুব কাছাকাছি যাওয়া

সংক্রমণের ধরন কি একই?

চারটি মহাদেশের লোকজন কীভাবে মাঙ্কিপক্সের সংস্পর্শে এসেছেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কারও শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

তবে বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হওয়া লোকজনের মাঝে— এমন অনেক পুরুষ আছেন, যারা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছেন। স্পেনের মাদ্রিদ অঞ্চলের সাউনার কয়েকটি ঘটনায় এ ধরনের শারীরিক সম্পর্কের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ