Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

১৭০টি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়ছে মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, গিনেসবুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস!

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২২, ১০:৪৮ এএম | আপডেট : ৫:২২ পিএম, ১১ জুন, ২০২২

সউদি আরবের মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসাধারণ বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন ভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক নাগরিক অধ্যয়ন করছে। ১৭০টি দেশের ছাত্র এখন মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ বিনাখরচে স্কলারশিপ নিয়ে ইসলামী শরীআর জ্ঞান অর্জন করছে। সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠে এসেছে সেই তথ্য।

 

এতো অধিকসংখ্যক ভিন দেশী নাগরিক একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, এমনটি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ড. শহীদুল্লাহ খান মাদানী ইনকিলাবকে জানান, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে যে উদ্দেশ্য ছিল তা আজকে অনেকটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। পৃথিবীতে আর কোনো ইউনিভার্সিটি মাত্র ৬১ বছরে তাওহিদ প্রতিষ্ঠা ও বিদআত নির্মুলে সারা বিশ্বে এতো প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আল্লাহ্‌ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে, এর পরিচালক, দায়িত্বশীল এবং এর শিক্ষক-ছাত্রদেরকে কবুল করুন।আমীন।

 

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬১ সালে সউদি আরব সরকার পবিত্র শহর মদিনায় একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করে। অনেকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়টি সালাফি মতাদর্শের সাথে যুক্ত এবং বলেছে যে, এটি সারা বিশ্বে সালাফি প্রবণ ধর্মতাত্ত্বিকদের তৈরি করে। অন্যরা আবার এই মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন এবং বলেন যে, প্রতিষ্ঠানটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রতিষ্ঠিত, যে কোনো একক মতাদর্শের উপর নয়। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ন্যাশনাল কমিশন ফর একাডেমিক অ্যাক্রিডিটেশন অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাতিষ্ঠানিক একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র মুসলিম ছাত্ররা পড়াশুনা করে।

 

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শরিয়া, কোরআন, উসুল আল-দীন এবং হাদিস অধ্যয়ন করতে পারে। আরবী ভাষাভাষীদের বাইরের ছাত্ররা আরবি ভাষা অধ্যয়ন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়টি আর্টস, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। কলেজ অফ শরিয়া ইসলামিক আইনে অধ্যয়ন প্রথম শুরু হয়েছিল, যখন বিশ্ববিদ্যালয়টি খোলা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন এবং জীবনযাত্রার খরচ কভার সহ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রকৌশল অনুষদ খোলে। ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার এবং তথ্য বিজ্ঞান অনুষদ খোলে। ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবারের মতো একটি বিজ্ঞান অনুষদ খোলে। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিচার বিভাগ স্টাডিজ অনুষদ খোলার ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানের আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার, ইন্দোনেশিয়ার হেদায়েত নূর ওয়াহিদ ও জিম্বাবুয়ের মুফতি মেনকসহ বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক স্কলাররা পড়েছেন মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ