Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পারাবতে আগুন কান্ড তড়িঘড়ি নেমে যায় রেলকর্মীরা : ছিল না আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২২, ৭:৫৫ পিএম | আপডেট : ৮:১২ পিএম, ১১ জুন, ২০২২

ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার পর তড়িঘড়ি করে নেমে পড়েন রেলকর্মীরা। রেলে ছিল না আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা। যাত্রীদের উদ্ধারে প্রথমে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। আজ (শনিবার) বিকেলে এসব কথা বলেন স্থানীয় পতনউষা ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ খান। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। ভয়ে লাফ দিতে গিয়ে চার-পাঁচজন আহত হন। কিন্তু আগুন লাগার পর রেলের কেউ এগিয়ে আসেননি। রেলে ছিল না আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্র।’ একই অভিযোগ করেছেন ট্রেনের যাত্রীরা।

তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই ট্রেনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল। শুরুতে ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল ওরা (রেলের লোকজন), কিন্তু আগুন নেভেনি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা প্রথমে যাত্রীদের কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পান। ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ আরও অনেকে। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘যাত্রীরা আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ কল করেন। কমলগঞ্জসহ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের পাওয়ার কার বগিতে জেনারেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত।’ এই দুর্ঘটনার কারণে কুলাউড়ার লংলা স্টেশনে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গল স্টেশনে আটকা পড়েছে। শমসেরনগর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জামাল উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হককে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগরের বিমানঘাঁটি এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে ট্রেনের এসি বগিতে আগুন লাগে। এতে ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। তবে এর আগে তিনটি বগি পুড়ে যায়।



 

Show all comments
  • Md.Mustafizur Rahman ১২ জুন, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
    রেলপথ সব মানুষের জন্যই নিরাপদ, তারপরও ট্রেনে অবস্থানকারী সকল কর্মীর অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণ দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ