Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাঁটুকে আপনি ধ্বংস করছেন না তো?

ফারজানা অমি | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাঁটু (শহবব লড়রহঃ) আমাদের শরীরের একটি বড় জয়েন্ট। শরীরের সমস্ত ভার বহন করে দুই হাঁটু। তাই হাঁটুতে বড় কিছু হওয়া মানে পঙ্গু হয়ে বসে থাকা ।
হাঁটুকে সুরক্ষা করতে নিচের নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলুন ।
১। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ অতিরিক্ত ওজন আপনার হাঁটুতে অস্টিওআর্থাইটিস হওয়া সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে দেয় ।
২। হাঁটুতে হঠাৎ ব্যথা হলে, বিশ্রাম দিন। সাথে সাথে হাঁটুতে ভর দিয়ে কাজ করবেন না। যেমন একটানা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করলে বা হাঁটলে ব্যথা লাগতে পারে! তাই ব্যথা লাগলে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিন। অন্যথায় হাঁটুর কার্টিলেজ আরও ভাংগতে থাকবে ।
৩। হাঁটুতে কোন আঘাত ফেলে বরফ দিন এবং বিশ্রাম নিন। হাঁটুতে বড় কোন আঘাত লাগলে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে চলে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাকি কাজ করবেন।
৪। হাঁটুতে কোন ব্যথা থাকলে ফিজিওথেরাপিস্টের অনুমতি ছাড়া হাঁটু ভাঁজ করবেন না, কারণ হাঁটু বাঁকা (নবহফ) করলে শরীরের ওজনের ২/৩ গুণ বেশি ওজন হাঁটুতে পড়ে। আবার অনেকে ভয়ে একবারে হাঁটু ভাঁজ করা বন্ধ করে দেয়, বসে নামাজ পড়ে, কোমড ব্যবহার করে!! এটা ঠিক না, কারণ পরে আর চাইলেও হাঁটু সোজা করা যায় না!! তাই সুস্থ হওয়ার সাথে হাঁটু ভাজ করার চেষ্টা শুরু করা উচিত। এমনকি অস্টিওআর্থাইটিসের ক্ষেত্রেও।
৫। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলব হাই হিল কম পরবেন। ব্যথা থাকলে না পরাই ভাল, কারণ হাই হিল পরলে ওজন সঠিকভাবে পড়ে না। সঠিকভাবে হাঁটা বা বসার চেষ্টা করবেন।
৬। হাঁটুতে যেকোন ব্যথা বা আর্থাইটিস হলে বা জয়েন্ট ক্ষয় হলে অবশ্যই একজন কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে কনসাল্ট করবেন ।
এছাড়া হাঁটুর বড় যেকোন সমস্যার (ফ্রাকচার, লিগামেন্ট ইনজুরি, মিনিসকাস ইনজুরি) জন্য একজন অর্থোপেডিক সার্জনের সাথে সাথে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপিস্টের চিকিৎসা বা পরামর্শ নিবেন ।
তাহলেই আপনার হাঁটুকে সুরক্ষা করতে পারবেন ধবংসের হাত থেকে। অন্যথায় হাঁটু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

লালপুর, ফতুল্লা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন