নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ

দুই বছর বিরতির পর আজ প্রতিরক্ষা সংলাপে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতের নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (১১
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, তিস্তা নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন। তিস্তা চুক্তি করতে চাই। ধীরগতিতে হলেও কাজ আগাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কারণে কাজটি সেøা হয়ে গেছে। আমরা হয়তো অচিরেই তিস্তার পানি বন্টনের ব্যাপারটি সমাধান করতে পারব।
গতকাল সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিস্তা চুক্তির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, আমরা আগে চেষ্টা করেছিলাম। কাজটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। কোন কোম্পানি কাজটা করবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যালোচনা করছে।
তিনি বলেন, দু’বছর আগে আমি যখন হাঙ্গেরি গিয়েছিলাম তখন ভারতের জলশক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আসার পর আমি তাকে কয়েকবার পত্র দিয়েছি। আমি তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য দাওয়াত দিয়েছি। আমি বলেছি, আসেন আমরা আলোচনা করি। উনি হয়তো একটা সময় দেখে আসবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙনের বিভিন্ন কারণ আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ বালি উত্তোলন। এই ব্যবসা এখন অনেক রমরমা। রাতের অন্ধকারে নদীর কিনারা থেকে বালি উঠায়। এরকম হলে লোহা দিয়ে বাধ দিলেও কিন্তু বাধ থাকবে না। বালি উঠানো বন্ধ করতে চাচ্ছি না। কিন্তু নির্দেশনা দিচ্ছি, যেখান থেকে উঠানোর কথা বলছি যাতে সেখান থেকেই উঠানো হয়।
তিনি বলেন, বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আছে। নীতিমালায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। যাতে জনগণ দেখতে পারে। বালি যাতে রাতে উত্তোলন না হয়। বিভিন্ন জায়গায় বালুমহাল জেলা প্রশাসন ইজারা দেয়। জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা আছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বালুমহাল ঘোষণা করতে হবে। বালি উঠানো বন্ধ করলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে এবং বালির দাম বেড়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছি। অতীতে যারা এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তারা ভাঙন এলাকায় কম গেছেন। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় নিজেই গিয়েছি এবং দেখেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্পর্কে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি এই ১১ জন ঠিকাদার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত নতুন করে কোন কাজ পাবে না। কাজ শেষ করার পর সেই পুরনো ১১ জনকে এখন আমরা কাজ দিচ্ছি। নির্দেশনা হচ্ছে একজন ঠিকাদার তিনটির বেশি কাজ করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা এখনো দেশের নদ-নদীর সংখ্যা বের করতে পারিনি। তবে অফিসিয়ালি বলি ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।