Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেষ হওয়ার পথে রিজার্ভ

জনগণকে চা পান কমানোর অনুরোধ পাকিস্তান সরকারের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

বহুদিন ধরেই ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। তবে এবার পরিস্থিতি বেশিই গুরুতর। দেশটির রিজার্ভ শেষ হওয়ার পথে। এখন যে পরিমাণ ফরেন কারেন্সি দেশটির কাছে রয়েছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ দু’মাস চলা সম্ভব। তাই যত কম আমদানি করে পারা যায়, সেই চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এরই অংশ হিসেবে এবার নাগরিকদের চা পানের পরিমাণ কমাতে বলেছে সেদেশের সরকার। দেশটির সিনিয়র মন্ত্রীদের একজন আহসান ইকবাল বলেন, প্রতিদিনের চা পানের পরিমাণ কমালে বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে চায়ের আমদানিও কমানো সম্ভব হবে।

অর্থনীতিতে যে চরম সংকট চলছে তা সামাল দিয়ে টিকে থাকতে অর্থ বাঁচানো প্রয়োজন পাকিস্তানিদের। আর তাই জনগণের প্রতি চা পানের পরিমাণ কমানোর আহŸান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাকিস্তান বিশ্বের বৃহত্তম চা আমদানিকারক দেশ। গত বছর দেশটি ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের চা আমদানি করেছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী আহসান ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি জাতির কাছে চায়ের ব্যবহার দুই কাপ থেকে এক কাপে কমানোর আবেদন করছি, কারণ আমাদের এখন ঋণ নিয়ে দেশে চা আমদানি করতে হচ্ছে। এছাড়া, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়ারও পরামর্শ দেন।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রæত পতনের কারণে উচ্চ আমদানি খরচ কমাতে এবং দেশে তহবিল সংরক্ষণের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ায় জনগণের প্রতি এ আহŸান জানানো হয়। চা পান কমানোর অনুরোধটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যেই। অনেকের ধারণা, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বাদ দিয়ে দেশের গুরুতর আর্থিক সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জুনের প্রথম সপ্তাহে কমে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও নিচে নেমেছে। এই পরিমাণ অর্থে পাকিস্তানের সব ধরনের আমদানি পণ্যের মাত্র দুইমাসের খরচ মেটানো সম্ভব।

গত মাসেই করাচির কর্মকর্তারা কয়েক ডজন বিলাসী পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন শেহবাজ শরীফ। তবে ক্ষমতায় বসেই তাকে বড় এই অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে হচ্ছে। শপথ গ্রহণের পরপরই তিনি দেশের অর্থনীতির এই করুন হাল করার জন্য তিনি ইমরান খানের সরকারের সমালোচনা করেন। এই অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনা সহজ কাজ হবে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি নিউজ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ