Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন বন্ধে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবেবিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

২৫ নভেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৫১ এএম

মিয়ানমারে অং সান সুচির নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী এবং বৌদ্ধ সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্মম মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্য দলসমূহ। গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যা- নির্যাতন, আগুন দিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ছারখার করে দেয়া হচ্ছে। বিশ্বের মানবতাবাদীরা প্রতিবাদমুখর হলেও সুচির সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। একইভাবে বাংলাদেশ সরকার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এমতাবস্থায় জাতিসংঘের উচিত অবিলম্বে মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘোষিত কর্মসূচিসমূহ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ

রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ  বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব তিমুর, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরের পর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান। মিয়ানমারের আদিবাসী রোহিঙ্গাদের বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে হত্যা, নির্যাতন ও মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। তাদের অনেকেই উদ্বাস্তুরূপে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অথচ তাদেরকে জন্মভূমিতে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করার বা পুনর্বাসন করার কোনো উদ্যোগ বিশ্ববাসী আজও গ্রহণ করেনি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনের আহ্বান সত্ত্বেও। কিন্তু মিয়ানমার সরকার মুসলিম নিধন বন্ধ করতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য কোনো ভূমিকা না নিয়ে মানবাধিকার লংঘন করছে।
গতকাল বিকেলে পল্টন মোড়স্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ এসব কথা  বলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যানারে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা ঈসা শাহেদী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, মুসলিম লীগের মহাসচিব আলহাজ কাজী আবুল খায়ের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ আইয়েম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, এনডিপির চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা লোকমান হোসেন, আমরা ঢাকাবাসীর সভাপতি হাজী শামসুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামিম, বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টির চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ও বিএনডিপির চেয়ারম্যান এস কে মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় আগামী ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল  মোকাররমের উত্তর গেটে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যানারে সর্বদলীয় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তা অতীতের সকল কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে। নিরীহ মুসলমানদের ঘরবাড়ি থেকে ধরে এনে জ্বলন্ত অগ্নিকু-ে নিক্ষেপ, সপরিবারে গাছে ঝুলিয়ে এবং মেয়েদের উলঙ্গ করে, বুক-পেট ফেরে হত্যা ইত্যাদি নির্যাতনের কারণে বিশ্ব মুসলিম আজ নির্বাক। বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করা হলেও আমাদের সরকার এ বিষয়ে এখনও নীরব। সরকারের এ ভূমিকায় দেশের জনগণ হতাশ। নেতৃবৃন্দ মিয়ানমারের মজলুম মুসলমানদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
গতকাল সকালে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জহিরুল হক ভূইয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম প্রমুখ।


ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
বাংলাদেশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মো: লুৎফর রহমান বলেছেন, জাতিসংঘ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে অসহায় রোহিঙ্গা পুরুষ-নারী ও শিশুদের জীবন রক্ষা করে শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাড: মাও: মো: মহিববুল্লাহ, অ্যাড: জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাড: সরদার মানিক মিয়া।
বাংলাদেশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাও: মো: মহিববুল্লাহ বলেন, সংখ্যালঘু নিরীহ মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক সেনা অভিযানের নামে ধর্ষণ, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করার মতো বর্বর হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদন অ্যাড: সরদার মো: মানিক মিয়া তার বক্তব্যে ওআইসি, আরবলীগসহ সকল মানবতাবাদী সংগঠনকে অবিলম্বে এই নৃশংস হত্যাকা- বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল জজকোর্ট এলাকায় প্রদক্ষিণ করে জজকোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ করা হয়।

                                                              -ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফ আলী আকন বলেছেন, মিয়ানমারে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নিষ্ঠুর, নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে। নারকীয় এ গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে তিনি অং সান সু চির নোবেল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার শাসনামলেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বৌদ্ধগোষ্ঠীর মাধ্যমে মুসলিম নারী, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা  হচ্ছে। আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে শত শত ঘরবাড়ি। এ ধরনের জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চরম মানবাধিকার লংঘন।
গতকাল দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আল-আমীন সাইফীর সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, মুহাম্মদ  হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা হজরত পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।


হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গণহত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মিয়ানমারের অং সান সু চি তার অতীত ইতিহাস ভুলে গিয়ে নিজ দেশে মুসলমান গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়ে অশান্তির বীজ বপন করায় তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে  নেয়ার দাবি করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ মাদরাসা হলরুমে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, লতিফ নেজামী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীসহ মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিমউদ্দিন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা মুহিউদ্দীন ইকরাম, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন।

 খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পরিচালিত নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ববাসীকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযান বন্ধের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি মিয়ানমারের বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে আগামী শুক্রবার সারাদেশে প্রতিবাদ দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, অধ্যাপক আবদুল হালিম প্রমুখ।



অ্যাডড
বিবৃতিতে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ জমীয়তে আহলে হাদীস
শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচির দেশ মিয়ানমারে মুসলিমদের ওপর পৈশাচিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া এবং নির্মমভাবে গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমীয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি অধ্যাপক শায়খ মোবারক আলী এবং সেক্রেটারি জেনারেল শায়খ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী। এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মহলে নীরবতায় উষ্মা প্রকাশ করেন। তারা এ ভয়াবহ সঙ্কট মুহূর্তে ওআইসিসহ বিশ্ব মুসলিমের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদেরকে মানবিক আশ্রয় দেবার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ আহলে হাদীস জামা’আত
বাংলাদেশ আহলে হাদীস জামা’আতের আমীর শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফী ও সেক্রেটারি জেনারেল এস.এম আব্দুল লতিফ এক যুক্ত বিবৃতিতে আরাকানে মুসলিম নিধনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটির সরকার ও প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘ, ওআইসিভুক্ত সকলকে মিয়ানমারের মুসলমানদের স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ