মুম্বাইয়ে চারতলা ভবন ধসে নিহত ১৯

ভারতের মুম্বাইয়ে একটি চারতলা ভবন ধসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। সোমবার
‘আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে’, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশে ঠিক এই কথাই বলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিএমসির তরফে পালি হিলসে অবস্থিত কঙ্গনার কোটি কোটি টাকার অফিস-বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ফুঁসে উঠেছিলেন বিজেপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত।
বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। যে কোনো মুহ‚র্তে ভেঙে যেতে পারে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা না দিলেও বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস ছেড়ে নিজের পৈতৃক ভিটে ‘মাতশ্রী’তে চলে গিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এ পরিস্থিতি ভাইরাল কঙ্গনার বছর দেড়ের আগেকার ওই ভিডিয়ো। সেখানে কী বলেছিলেন কুইন?
রীতিমতো তুই সম্বোধন করে প্রকাশ্যে উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেছিলেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়.. তুই ফিল্ম মাফিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ঘর ভেঙে আমার থেকে প্রতিশোধ নিলি? সময়ের চাকা ঘুরবে। তুই আজ আমার ঘর ভেঙেছিস, কাল তোর অহংকার ভাঙবে।’
টুইটারে ভাইরাল কঙ্গনার একাধিক পুরোনো ভিডিয়ো। অপর এক ভিডিয়োয় কঙ্গনাকে বলতে শোনা গেল, ‘ইতিহাস সাক্ষী আছে যখনই কেউ কোনো নারীর অপমান করেছে তার পতন নিশ্চিত। রাবণ সীতাকে অপমান করেছিল, কৌরবরা দ্রৌপদীর অস্মিতা হরণের চেষ্টা করেছিল তাঁদের নিমূল হয়েছে। আমি ওইসব মহান নারীদের ধারে কাছে নেই, তবে আমিও নারী। নিজেকে রক্ষার চেষ্টাই আমি করেছিৃ আমি বিশ্বাস করি নারীকে অসম্মান করতে তোমার বিনাশ আসন্ন’।
এর মাঝেই কঙ্গনাকে একহাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক সাংঘভি টুইট করেন, ‘বোধহয় কঙ্গনাও অনেক মহিলাকে অপমান করেছেন, এর জেরেই তার ছবি ধাকড় ফ্লপ করেছে’।
উদ্ধব ঠাকরের ঘর সত্যিই ভেঙেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। একনাথ শিন্ডেসহ মোট ৩৫ জন শিবসেনা বিধায়ক বর্তমানে রয়েছেন গুয়াহাটির হোটেলে। তারা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলেয়ে গদিচ্যুত করতে পারেন উদ্ধব ঠাকরেকে। যদিও ‘বিদ্রোহী’দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, যে কোনো সময় ইস্তফা দিতে রাজি তিনি। অন্য শিব সৈনিকের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রীর আবাস ইতিমধ্যেই ছেড়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বর্তমানে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে ৩৮ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে মাত্র ১৬ জন বিধায়ক আছেন। একজন বিধায়ক এখনও মনস্থির করতে পারেননি বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ৫৫ বিধায়কের দলে একনাথদের দলবিরোধী আইন এড়াতে ৩৭ জন বিধায়ক প্রয়োজন ছিল। সেই সংখ্যা থেকে একজন বিধায়ক বেশি রয়েছে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।